কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যে প্রশ্ন ছুঁড়লেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাদককাণ্ডে মুম্বাইয়ের একটি প্রমোদতরী থেকে গ্রেফতার হয়ে এখন জেল হেফাজতে শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান ও তার দুই ঘনিষ্ঠ আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচা।

আদালতে বেশ কয়েকবার চেষ্টায়ও জামিন মেলেনি তাদের। আরিয়ান খান আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, ‘তিনি ভালো ঘরের সন্তান। কোথাও পালিয়ে যাবেন না। তথ্য-প্রমাণ লোপাটের কোনো চেষ্টাও করব না’।

তবুও জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেননি মুম্বাই মেট্রোপলিটন আদালত।

জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় আদালতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বলিউড সুপারস্টারের ছেলে। শুক্রবার জামিনের শুনানির সময় আদালতের কাছে প্রশ্ন তুলেছিলেন আরিয়ান – ‘ওই প্রমোদতরীর পার্টিতে ছিল ১৩০০ লোক। কিন্তু শুধু ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হল কেন?’

প্রমোদতরীর পার্টিতে যোগদানের কারণ জানাতে আরিয়ান আদালতকে বলেন, পার্টিতে শাহরুখ খানের ছেলে গেলে সেখানে হইহুল্লুর বেড়ে যাবে। মূলত এই কারণেই নাকি ডেকে আনা হয়েছিল আরিয়ানকে।

প্রতীক নামে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে আরিয়ানকে প্রস্তাবটি দেয় এই পার্টির আয়োজকদের একজন। সেই ব্যক্তিই তাকে পার্টিতে আসার জন্য অনুরোধ করেন এবং আরিয়ানকে ‘ভিভিআইপি’ তালিকায় রাখা হবে বলে জানান।

এ বিষয়ে আরিয়ান খান বলেন, ‘ওই পার্টির আয়োজকদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আরবাজের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা আমি অস্বীকার করছি না। কিন্তু ওর ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে আমি যুক্ত নই। প্রতীকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখলেই এসব তথ্যের সত্যতা বেরিয়ে আসবে।’

আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডের  দাবি, আরিয়ানের সঙ্গী আরবাজ শেঠ মার্চেন্টের সঙ্গেও প্রতীকের পরিচয় রয়েছে।

এ বিষয়ে আরিয়ানের বক্তব্য, ‘ওই পার্টির আয়োজকদের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আরবাজের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা আমি অস্বীকার করছি না। কিন্তু ওর ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে আমি যুক্ত নই।’

আরিয়ান আরও দাবি করেন, প্রমোদতরীতে ওঠার সময় আমার ব্যাগ পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেখানে মাদক মেলেনি।

যদিও মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এনসিবি) দাবি, মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেছেন আরিয়ান।

তবে আরিয়ান ও তার আইনজীবীর এসব দাবি ও যুক্তির কোনোটিতেই মন গলেনি আদালতের। ১৪ দিন আর্থার রোডের জেলে হেফাজতে আরিয়ানকে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর