প্রতিদিন টানা ১৬ ঘণ্টা শুটিং করছেন নিরব

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় ও নন্দিত চিত্রনায়িকা রোজিনা প্রথমবারের মত সিনেমা নির্মাণ করছেন। ঢাকার অদূরে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ এলাকায় গেল ১ মার্চ থেকে ‘ফিরে দেখা’ ছবিটির শুটিং শুরু হয়। প্রথমদিন থেকেই শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন চিত্রনায়ক নিরব ও স্পর্শিয়া।

এরমধ্যে গোয়লন্দ, অন্তর মোড় ও পদ্মা পাড় এলাকায় শুটিং চলছে। অংশ নেওয়ার পর থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৫-১৬ ঘণ্টা করে টানা শুটিং করছেন অভিনয়শিল্পীরা। নিরব জানান, আজকে শুটিংয়ের নবম দিন। প্রতিদিন আমার কল টাইম সকাল ৭টায়, চলে রাত অব্দি। সেদিক থেকে টানা ১৬ ঘণ্টার মতো কাজ করছি। সত্যি বলতে ক্লান্তি লাগছে না। বরং ভালো লাগছে, আমি খুব এনজয় করছি। একে তো নিজের এলাকা, সবাই পরিচিত; বেশ উপভোগ করছি।

এই নায়ক বলেন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্পে কাজ করার ইচ্ছেটা ছিল অনেক আগে থেকে। সেই সুযোগটা পেয়েছি এবং তার সদ্ব্যবহার করছি। ৭জন বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ সম্পর্কে আমি অনেক রিসার্চ করেছি, চেষ্টা করেছি তার গেটআপ নেওয়ার। আর অভিনয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চটা দিচ্ছি। কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হলে রোজিনা আপা খুব সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছেন।

মজার বিষয় হলো, শুটিংয়ে চরিত্রের গেটআপ নেওয়ার পর আমাকে প্রথমে চিনতেই পারেননি রোজিনা আপা। আমি উনার সামনে দাঁড়িয়ে সালাম দিলাম, উনি উত্তর দিলেন। তখন তিনি বললেন, নিরবকে ডাকো, নিরবের পোশাকগুলো দেখাও। পরে অবশ্য যখন বুঝতে পারলেন আমি ওনার পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছি, তখন তিনি অবাক হলেন। আমাকে বললেন, আরে বাহ! তুমি তো দারুণ গেটআপ নিয়েছো। আমি চিনতেই পারিনি তোমাকে, সরি সরি! অনেক খেটেছো বোঝায় যাচ্ছে। তোমার জন্য অনেক দোয়া রইলো।

চিত্রনায়িকা রোজিনার পরিচালনায় অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে নিরব বলেন, আপার সাথে কাজের অভিজ্ঞতা এখন পর্যন্ত চমৎকার। প্রতিটা শট বাই শট তিনি আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। কথা বলা, হাঁটা-চলা থেকে শুরু করে সবকিছু নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।

এখানে আমি রোজিনা আপার ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করছি। আমি আপাকে বলছিলাম, আপা আমি যুদ্ধে গেলাম। আপা তখন বললে, নিরব; এটা যেন বলার জন্য বলা না হয়! নিজের মধ্যে ঠিক এমন সিচুয়েশনে তোমার ভিতর থেকে ডায়লগগুলো দিবে! এরকম অনেক খুঁটিনাটি অনেক কিছুই শিখছি উনার কাছ থেকে।

রাজবাড়ীতে টানা ২০ দিন শুটিং চলবে। এরমধ্যে শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনও। উনার অংশের কাজ শেষ হলেও নিরব-স্পর্শিয়ার এখনো বাকি রয়েছে। ছবিটির দৃশ্যায়ন শুরু হয় গান দিয়ে। ‘অন্তর মোড়ে’ শিরোনামের গান দিয়েই শুরু হয় শুট। গানটি লিখেছেন সোমেশ্বর অলি। গেয়েছেন ইমরান ও কনা।

‘ফিরে দেখা’ সরকারি অনুদান প্রাপ্ত সিনেমা। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রোজিনা এ সিনেমার জন্য অনুদান পেয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গল্প নিয়ে ‘ফিরে দেখা’ সিনেমার কাহিনী। চিত্রনাট্য করেছেন রোজিনা নিজেই।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর