ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ পল্লীকবি জসীমউদদীনের ১১৫তম জন্মদিন করেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২০:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৪১৯ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ পল্লীকবি জসীমউদদীনের ১১৫তম জন্মদিন আজ । গ্রামীণ জীবনচিত্রকে সাবলীলভাবে কবিতার পঙ্ক্তিতে তুলে ধরে তিনি পল্লীকবি হিসেবে পরিচিতি পান।
১৯০৩ সালে ১ জানুয়ারি ফরিদপুরের সদর উপজেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জসীমউদদীন জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আনসার উদ্দিন মোল্লা ছিলেন স্কুলশিক্ষক।  মা আমিনা খাতুন ওরফে রাঙাছুট।
ছোটবেলা থেকেই কবি সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। তিনি ফরিদপুর ওয়েলফেয়ার স্কুল ও ফরিদপুর জেলা স্কুলে অধ্যয়ন করেন এবং ১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং এরপর এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশাগত জীবনে তিনি ১৯৩১ সালে দীনেশচন্দ্র সেনের সঙ্গে লোকসাহিত্য সংগ্রহ কাজে চাকরি করেন। ১৯৩৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সহকারী হিসেবে যোগ দেন।
১৯৩৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪৪ সালে ঢাবির চাকরি ছেড়ে সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে রবীন্দ্র বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সন্মানসূচক ডি লিট ডিগ্রি প্রদান করে।
বাংলা সাহিত্যে কবি জসীমউদদীনই প্রথম পল্লীর জনগণের জীবন, সংস্কৃতি, তাদের সুখ-দুঃখ নিয়ে ব্যাপকভাবে কবিতা, নাটক, গান রচনা করে খ্যাতিলাভ করেন। কবি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখনই তার বিখ্যাত ‘কবর’ কবিতা বাংলা পাঠ্য বইয়ে স্থান পায়। তিনি ১৩ মার্চ ১৯৭৬ সনে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আজ পল্লীকবি জসীমউদদীনের ১১৫তম জন্মদিন করেন

আপডেট টাইম : ১২:২০:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০১৮
হাওর বার্তা ডেস্কঃ পল্লীকবি জসীমউদদীনের ১১৫তম জন্মদিন আজ । গ্রামীণ জীবনচিত্রকে সাবলীলভাবে কবিতার পঙ্ক্তিতে তুলে ধরে তিনি পল্লীকবি হিসেবে পরিচিতি পান।
১৯০৩ সালে ১ জানুয়ারি ফরিদপুরের সদর উপজেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জসীমউদদীন জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আনসার উদ্দিন মোল্লা ছিলেন স্কুলশিক্ষক।  মা আমিনা খাতুন ওরফে রাঙাছুট।
ছোটবেলা থেকেই কবি সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। তিনি ফরিদপুর ওয়েলফেয়ার স্কুল ও ফরিদপুর জেলা স্কুলে অধ্যয়ন করেন এবং ১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং এরপর এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশাগত জীবনে তিনি ১৯৩১ সালে দীনেশচন্দ্র সেনের সঙ্গে লোকসাহিত্য সংগ্রহ কাজে চাকরি করেন। ১৯৩৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সহকারী হিসেবে যোগ দেন।
১৯৩৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪৪ সালে ঢাবির চাকরি ছেড়ে সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে রবীন্দ্র বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সন্মানসূচক ডি লিট ডিগ্রি প্রদান করে।
বাংলা সাহিত্যে কবি জসীমউদদীনই প্রথম পল্লীর জনগণের জীবন, সংস্কৃতি, তাদের সুখ-দুঃখ নিয়ে ব্যাপকভাবে কবিতা, নাটক, গান রচনা করে খ্যাতিলাভ করেন। কবি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখনই তার বিখ্যাত ‘কবর’ কবিতা বাংলা পাঠ্য বইয়ে স্থান পায়। তিনি ১৩ মার্চ ১৯৭৬ সনে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।