ঢাকা ০১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুস্থ থাকতে এই মশলা খাওয়ার উপকারে লেগে থাকে জেনে নিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৩৭১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরকেও রোগমুক্ত রাখতে মশলা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো মশলাহীন খাবার দেখতে যতই স্বাস্থ্যকর মনে হোক না কেন, তা কিন্তু আদৌ নয়।

কারণ একাধিক গবেষণায় দেকা গেছে, মশলা নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে।

শরীর যত সুস্থ এবং সুন্দর থাকবে, মন এবং জীবন তত আনন্দে ভরে উঠবে। তবে এটি কজনই বা মেনে চলেন। তাই তো এত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

যে যে মশলাগুলির হাতে রয়েছে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি, সেগুলি হল…

হলুদ : অ্যালঝাইমার এবং ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে হলুদের কোনও বিকল্প নেই। কারণ এই মশলায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নানাভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে যাতে কোনও ভাবেই রোগ সৃষ্টিকারি উপাদানগুলি শক্তিশালী না হয়ে ওঠে সেদিকেও খেয়াল রাখে। এখানেই শেষ নয়, হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন নামে একটি উপাদান শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না। ফলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

জিরা : খাবারে মাত্র এক চামচ জিরে মিশিয়ে সেই খাবার খেলে চোখে পরার মতো ওজন কমে।

কারণ এই মশলাটি শরীরে জমে থাকা মেদ ঝড়িয়ে ফলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে, ডায়াবেটিস রোগকে দূরে রাখতে এবং রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

দারচিনি : এই মশলাটি তো সবারই বাড়িতেই থাকে। তবে কজনই বা জানেন যে প্রতিদিন দারচিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার সুযোগই পায় না। ফলে ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে থাকে।

গোলমরিচ : শরীরে জমে থাকা ক্যালোরি বার্ন করতে এই মশলাটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে প্রতিটি খাবারে এই মশলাটি মেশালে, খাবার প্রতি প্রায় ১০০ ক্যালোরি বার্ন হয়। এই পরিমাণ ক্যালোরি যদি প্রতিদিন বার্ন হতে থাকে, তাহলে ওজন কমতে যে একেবারেই সময় লাগবে না, তা বলাই বাহুল্য!

আদা : নানাবিধ রোগের চিকিৎসায় সেই আদি কাল থেকে কাজে লাগানো হচ্ছে এই মশলাটিকে। কেন হবে নাই বা বলুন, হলুদে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ওজন হ্রাসেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই যাদের পরিবাবে ওজন বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিস রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা হলুদকে সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না।

রসুন : খাবারকে সুস্বাদু বানানোর পাশপাশি একাধিক নন-কমিউনিকেবল ডিজিজকে দূরে রাখতে রসুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, ওজন কমাতেও এই মশলাটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

এলাচ : এই মশলাটি হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটিয়ে ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ২০০৮ সালে জার্নাল অব এথনোফার্মাকোলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র অনুসারে নিয়মিত এলাচ খেলে যে কোনও ধরনের পেটের রোগ সারতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়া এবং কনস্টিপেশনের মতো রোগের চিকিৎসাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ধনে : প্রায় ৭০০০ বছর ধরে ভারতীয় রান্নায় এই প্রকৃতিক উপাদানটির ব্যবহার হয়ে আসছে। আর কেন হবে নাই বা বলুন! একাদিক গবেষণায় দেখা গেছে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে ধনিয়ার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই যাদের পরিবারে কানও ধরনের হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা এই প্রকৃতিক উপাদানটি খেতে ভুলবেন না যেন!

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সুস্থ থাকতে এই মশলা খাওয়ার উপকারে লেগে থাকে জেনে নিন

আপডেট টাইম : ০৮:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরকেও রোগমুক্ত রাখতে মশলা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো মশলাহীন খাবার দেখতে যতই স্বাস্থ্যকর মনে হোক না কেন, তা কিন্তু আদৌ নয়।

কারণ একাধিক গবেষণায় দেকা গেছে, মশলা নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে।

শরীর যত সুস্থ এবং সুন্দর থাকবে, মন এবং জীবন তত আনন্দে ভরে উঠবে। তবে এটি কজনই বা মেনে চলেন। তাই তো এত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

যে যে মশলাগুলির হাতে রয়েছে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি, সেগুলি হল…

হলুদ : অ্যালঝাইমার এবং ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে হলুদের কোনও বিকল্প নেই। কারণ এই মশলায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নানাভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে যাতে কোনও ভাবেই রোগ সৃষ্টিকারি উপাদানগুলি শক্তিশালী না হয়ে ওঠে সেদিকেও খেয়াল রাখে। এখানেই শেষ নয়, হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন নামে একটি উপাদান শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না। ফলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

জিরা : খাবারে মাত্র এক চামচ জিরে মিশিয়ে সেই খাবার খেলে চোখে পরার মতো ওজন কমে।

কারণ এই মশলাটি শরীরে জমে থাকা মেদ ঝড়িয়ে ফলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয়, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে, ডায়াবেটিস রোগকে দূরে রাখতে এবং রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

দারচিনি : এই মশলাটি তো সবারই বাড়িতেই থাকে। তবে কজনই বা জানেন যে প্রতিদিন দারচিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার সুযোগই পায় না। ফলে ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে থাকে।

গোলমরিচ : শরীরে জমে থাকা ক্যালোরি বার্ন করতে এই মশলাটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে প্রতিটি খাবারে এই মশলাটি মেশালে, খাবার প্রতি প্রায় ১০০ ক্যালোরি বার্ন হয়। এই পরিমাণ ক্যালোরি যদি প্রতিদিন বার্ন হতে থাকে, তাহলে ওজন কমতে যে একেবারেই সময় লাগবে না, তা বলাই বাহুল্য!

আদা : নানাবিধ রোগের চিকিৎসায় সেই আদি কাল থেকে কাজে লাগানো হচ্ছে এই মশলাটিকে। কেন হবে নাই বা বলুন, হলুদে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ওজন হ্রাসেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই যাদের পরিবাবে ওজন বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিস রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা হলুদকে সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না।

রসুন : খাবারকে সুস্বাদু বানানোর পাশপাশি একাধিক নন-কমিউনিকেবল ডিজিজকে দূরে রাখতে রসুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, ওজন কমাতেও এই মশলাটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

এলাচ : এই মশলাটি হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটিয়ে ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ২০০৮ সালে জার্নাল অব এথনোফার্মাকোলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র অনুসারে নিয়মিত এলাচ খেলে যে কোনও ধরনের পেটের রোগ সারতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়া এবং কনস্টিপেশনের মতো রোগের চিকিৎসাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ধনে : প্রায় ৭০০০ বছর ধরে ভারতীয় রান্নায় এই প্রকৃতিক উপাদানটির ব্যবহার হয়ে আসছে। আর কেন হবে নাই বা বলুন! একাদিক গবেষণায় দেখা গেছে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে ধনিয়ার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই যাদের পরিবারে কানও ধরনের হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা এই প্রকৃতিক উপাদানটি খেতে ভুলবেন না যেন!