টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ নারী দল। সিলেটে আয়ারল্যান্ডের ১৬৯ রান তাড়া করে জিততে পারেনি তারা। প্রথম ম্যাচ হেরেছে ১২ রানে। এতে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ দুপুর ২টায় মাঠে গড়াবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। সিরিজে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের লক্ষ্য দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতে সিরিজে ফেরা। গতকাল ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে পেসার জাহানারা আলম বলেন, ‘দলের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। ব্যাটিং লাইনআপে ইতিবাচক কিছু পাওয়া গেছে। চারজন ব্যাটার ভালো স্কোর করেছে, যা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমরা সিরিজে ফিরতে পারব।’
ওয়ানডে সিরিজে মিরপুরে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ (৩-০) করার পর সেই ছন্দ টি-টোয়েন্টিতেও ধরে রাখতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সিলেটে প্রথম ম্যাচে একের পর এক সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে ম্যাচটি তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। আয়ারল্যান্ড প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রেকর্ড ৫ উইকেটে ১৬৯ রান করেছিল। জবাবে উদ্বোধনী জুটিতে রেকর্ড ১০৩ রান স্কোরকার্ডে যোগ করেছিলেন দিলারা আক্তার ও সোবহানা মোস্তারি; যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি ও প্রথম শতরানের জুটি। বেশ কয়েকটি ক্যাচ ও রান আউটের সুযোগ মিস করেছেন আইরিশ ফিল্ডাররা। তারপরও সুযোগ পেয়েও এই দুই ওপেনারের কেউই ফিফটি করতে পারেননি।
এ ছাড়া জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে ১৮ রান দরকার থাকলেও সে সমীকরণ মেলাতে পারেনি বাংলাদেশ। জাহানারা জানান, প্রথম ম্যাচের ভুলত্রুটি শুধরে দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ভালো করতে মুখিয়ে আছেন। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের বড় সংগ্রহের (১৫৭/৭) একটি উদাহরণ। যদিও কয়েকটি ভুলের জন্য আমরা জয় পাইনি। তবে আমরা জানি কীভাবে সেগুলো শুধরে সিরিজে ফিরতে হবে। দলে যদি আরও ২-৩ জন ব্যাটার রান করতে শুরু করে তাহলে ছয়-সাতজন মিলে বড় লক্ষ্য তাড়া করার সামর্থ্য রাখি।’ নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে ইতিবাচক ফল আনা সম্ভব জানিয়ে জাহানারা বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে সময় খুব কম। এখানে বল ধরে ধরে পরিকল্পনা করতে হয় এবং প্রতিটি মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে হয়। আমরা যদি আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারি এবং আইরিশদের টপ অর্ডারকে দ্রুত ফেরাতে পারি, তাহলে তাদের অল্প রানে আটকে রাখতে পারব। এভাবে ম্যাচে ইতিবাচক ফল আনা সম্ভব।’