অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে দারুণ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। আজ নেপালের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখালেন তিনি। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন তিনি। তাতে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশের যুবারা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে নেপালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। নির্দিষ্ট ৫০ ওভারের ২৬ বল বাকি থাকতেই ১৪১ রানে অলআউট হয় নেপাল। জবাব দিতে নেমে একটু ধাক্কা খেলেও ১২৮ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশের যুবারা।
গ্রুপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ শ্রীলংকার বিপক্ষে। বাংলাদেশের মতো প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেয়ে তারাও সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। নিজেদের মুখোমুখি শেষ ম্যাচটি তাই পরিণত হয়েছে শুধুই আনুষ্ঠানিকতায়। গ্রুপের বাকি দুই দল আফগানিস্তান ও নেপাল একটি জয়ও না পাওয়ায় শূন্য পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে।
১৪২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এদিন রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন বাংলাদেশ ওপেনার কালাম সিদ্দিকি। এরপর দারুণ এক জুটি গড়েন আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও তামিম। দলের সঙ্গে দুজনে যোগ করেন ৯০ রান। এরপর ছোট একটি ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ৯১ রানের মধ্যে বিদায় নেন আবরার ও চারে নামা মোহাম্মদ শিহাব জেমস।
এরপর ফরিদ হাসানকে নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের পথে নিয়ে যেতে থাকেন তামিম। ১৩৪ রানের মাথায় আবারও জোড়া উইকেটের পতন ঘটে। ফরিদ (৩০ বলে ১৩) ও রিজান হোসেন (১ বলে ০) বিদায় নেন। তবে জয়ের পথে আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি তামিম ও দেবাশিষ দেবা। শেষ পর্যন্ত ৭২ বলে ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম। ২টি চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ বোলারদের দাপটে বিপদে পড়ে নেপালের ব্যাটাররা। তিন ব্যাটার ছাড়া কেউই দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৭৭ বলে ৪৩ রান করেন ওপেনার আশাশ ত্রিপাঠি। এছাড়া সমান ২৯ রান করে আসে উত্তম মাগার ও অভিষেক তিওয়ারির ব্যাট থেকে। বাংলাদেশ বোলার আল ফাহাদ, ইকবাল হোসেন ইমন ও রিজান হোসেন দুটি করে উইকেট দখল করেন।