ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাদমানের ফিফটি ও উইন্ডিজের ৩ ক্যাচ ছাড়ার দিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৪:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭ বার

মাঠ ভেজা থাকায় জ্যামাইকা টেস্টের প্রথম দিনে শনিবার খেলা হয়েছে ৩০ ওভার। যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৬৯। দুই দফায় জীবন পেয়ে সাদমান ইসলাম অপরাজিত ১০০ বলে ৫০ রানে। একবার জীবন পেয়ে শাহাদাত হোসেন দিন শেষ করেন ৬৩ বলে ১২ রানে।

বাংলাদেশ দলীয় ১০ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। যদিও স্বাগতিকদের সামনে সুযোগ এসেছিল আরও। কিন্তু তিন-তিনটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ক্যারিবিয়ান ফিল্ডাররা।

টস জিতে এদিন ব্যাটিং নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের শুরুটায় যদিও ছিল বিপর্যয়ের ইঙ্গিত। আবারও অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন মাহমুদুল হাসান জয় (৩)। উইকেটের পেছনে ভালো ক্যাচ নেন জশুয়া দা সিলভা।

জয়কে ফেরানোর পরের ওভারে মুমিনুলকে ফিরিয়ে ৫০ পূর্ণ করেন রোচ। অফ স্টাম্পের হালকা বাইরে পিচ করে একটু বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট পেতে দিয়ে মুমিনুল ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে।

সবশেষ ছয় ইনিংসে এই নিয়ে তিনবার শূন্য রানে আউট হলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সাত টেস্টে শূন্যতে ফিরলেন চারবার।

বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি শূন্যের রেকর্ডও এখন তার। ১৭ বার শূন্যতে আউট হয়ে ছাড়িয়ে গেলেন মোহাম্মদ আশরাফুলকে (১৬)।

আর সেই ২০০৯ সালে মূল ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতিতে রোচের অভিষেক। সেই সিরিজেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়ে দুই টেস্টে শিকার করেছিলেন ১৩ উইকেট। এবার মুমিনুলের উইকেট নিয়ে দারুণ এক মাইলফলক তার পূর্ণ হলো। প্রথম পেসার হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫০ টেস্ট উইকেট শিকারি তিনিই।

বাংলাদেশের অবস্থা আরও নাজুক হতে পারত, যদি ক্যাচগুলি না পড়ত। জাকির হাসানের বদলে একাদশে ফেরা সাদমান ১৫ রানে রক্ষা পান স্লিপে। পরে জীবন পান ৩৫ রানে। শর্ট কাভারে ক্যাচ ছেড়ে দেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেই ব্র্যাথওয়েট।

এদিকে এই টেস্ট দিয়েই স্যার গ্যারি সোবার্সকে ছাড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টানা সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার (৮৬টি) কীর্তি গড়লেন ব্র্যাথওয়েট। কিন্তু দিনটিতে তেমন প্রভাব রাখতে পারলেন না তিনি।

দুই জীবনের ফাঁকে ভালো কয়েকটি শট খেলেন সাদমান। অনিয়মিত স্পিনার কাভেম হজকে একটি ছক্কাও মারেন তিনি। তার ২০ টেস্টের ক্যারিয়ারের প্রথম ছক্কা যেটি।

শাহাদাত স্লিপেই জীবন পান ৮ রানে। উইকেটে তার পুরো সময়ের উপস্থিতি ছিল অস্বস্তিময়। একটি বাউন্ডারি পেয়েছেন ব্যাটের কানায় লেগে। তবে শেষ পর্যন্ত সাদমান ও শাহাদাত টিকে গেছেন, এটাই বাংলাদেশের স্বস্তি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সাদমানের ফিফটি ও উইন্ডিজের ৩ ক্যাচ ছাড়ার দিন

আপডেট টাইম : ১০:২৪:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

মাঠ ভেজা থাকায় জ্যামাইকা টেস্টের প্রথম দিনে শনিবার খেলা হয়েছে ৩০ ওভার। যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৬৯। দুই দফায় জীবন পেয়ে সাদমান ইসলাম অপরাজিত ১০০ বলে ৫০ রানে। একবার জীবন পেয়ে শাহাদাত হোসেন দিন শেষ করেন ৬৩ বলে ১২ রানে।

বাংলাদেশ দলীয় ১০ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। যদিও স্বাগতিকদের সামনে সুযোগ এসেছিল আরও। কিন্তু তিন-তিনটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ক্যারিবিয়ান ফিল্ডাররা।

টস জিতে এদিন ব্যাটিং নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের শুরুটায় যদিও ছিল বিপর্যয়ের ইঙ্গিত। আবারও অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হন মাহমুদুল হাসান জয় (৩)। উইকেটের পেছনে ভালো ক্যাচ নেন জশুয়া দা সিলভা।

জয়কে ফেরানোর পরের ওভারে মুমিনুলকে ফিরিয়ে ৫০ পূর্ণ করেন রোচ। অফ স্টাম্পের হালকা বাইরে পিচ করে একটু বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট পেতে দিয়ে মুমিনুল ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে।

সবশেষ ছয় ইনিংসে এই নিয়ে তিনবার শূন্য রানে আউট হলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সাত টেস্টে শূন্যতে ফিরলেন চারবার।

বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি শূন্যের রেকর্ডও এখন তার। ১৭ বার শূন্যতে আউট হয়ে ছাড়িয়ে গেলেন মোহাম্মদ আশরাফুলকে (১৬)।

আর সেই ২০০৯ সালে মূল ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতিতে রোচের অভিষেক। সেই সিরিজেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়ে দুই টেস্টে শিকার করেছিলেন ১৩ উইকেট। এবার মুমিনুলের উইকেট নিয়ে দারুণ এক মাইলফলক তার পূর্ণ হলো। প্রথম পেসার হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫০ টেস্ট উইকেট শিকারি তিনিই।

বাংলাদেশের অবস্থা আরও নাজুক হতে পারত, যদি ক্যাচগুলি না পড়ত। জাকির হাসানের বদলে একাদশে ফেরা সাদমান ১৫ রানে রক্ষা পান স্লিপে। পরে জীবন পান ৩৫ রানে। শর্ট কাভারে ক্যাচ ছেড়ে দেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্রেই ব্র্যাথওয়েট।

এদিকে এই টেস্ট দিয়েই স্যার গ্যারি সোবার্সকে ছাড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টানা সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার (৮৬টি) কীর্তি গড়লেন ব্র্যাথওয়েট। কিন্তু দিনটিতে তেমন প্রভাব রাখতে পারলেন না তিনি।

দুই জীবনের ফাঁকে ভালো কয়েকটি শট খেলেন সাদমান। অনিয়মিত স্পিনার কাভেম হজকে একটি ছক্কাও মারেন তিনি। তার ২০ টেস্টের ক্যারিয়ারের প্রথম ছক্কা যেটি।

শাহাদাত স্লিপেই জীবন পান ৮ রানে। উইকেটে তার পুরো সময়ের উপস্থিতি ছিল অস্বস্তিময়। একটি বাউন্ডারি পেয়েছেন ব্যাটের কানায় লেগে। তবে শেষ পর্যন্ত সাদমান ও শাহাদাত টিকে গেছেন, এটাই বাংলাদেশের স্বস্তি।