নিজাম (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে নেত্রকোণা জেলা পাবলিক হল মিলনায়তনে আমার দেশ পাঠক ফোরাম এর উদ্যোগে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাঠক ফোরামের সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী নুরুজ্জামান নুরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন নেত্রকোণা জেলার বিজ্ঞ জিপি এড. মাহফুজুল হক, শিক্ষাবিদ এ কে এম হামিদুর রহমান, কবি মাহমুদ সীমান্ত, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্পিতা রানী দে, মোহাম্মদ লিমন সহ প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ও “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মাহবুবুল কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম। বক্তারা বলেন, নেত্রকোণা জেলা বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় ও ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল। এখানে বসবাসকারী মানুষের স্বপ্ন, প্রত্যাশা ও সংগ্রাম জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির অংশ। ঐ জনগণ বিশ্বাস করে, একটি সক্রিয় ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম যেমন “দৈনিক আমার দেশ” তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে এবং সমাধানের পথে আলোকপাত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তারা আরো বলেন, নেত্রকোণার জনগণের “দৈনিক আমার দেশ” এর কাছে প্রত্যাশা করে সমসাময়িক ইস্যুতে সাহসী প্রতিবেদন: দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও সমস্যাগুলো তুলে ধরতে সত্যনিষ্ঠ ও সাহসী সাংবাদিকতা খুবই প্রয়োজন। আমাদের জনগণ চায় দৈনিক আমার দেশ দারিদ্র্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, কৃষি, এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের মতো বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিয়ে লেখালেখি করবে।
আমাদের এলাকার মানুষের চাওয়া-পাওয়া ও মতামত জাতীয় পরিসরে তুলে ধরতে “দৈনিক আমার দেশ” একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। এটি নীতিনির্ধারকদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
মাদক, দুর্নীতি, ও সামাজিক অপরাধের মতো সমস্যা নিরসনে “দৈনিক আমার দেশ” গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। নেত্রকোণার জনগণ আশা করে পত্রিকাটি এসব বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করবে।
নেত্রকোণার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও লোকশিল্প জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। “দৈনিক আমার দেশ” এই দায়িত্ব পালন করবে বলে জনগণ প্রত্যাশা করে।
নেত্রকোণার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সম্পদ রক্ষা করতে পরিবেশ বিষয়ক সমস্যাগুলো পত্রিকার মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। এটি স্থানীয় জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণে সহায়ক হবে।
“দৈনিক আমার দেশ” যদি এই প্রত্যাশাগুলো পূরণে যথাযথ ভূমিকা পালন করে, তবে এটি নেত্রকোণার জনগণের প্রকৃত কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে পারে বলে আশা করে নেত্রকোণার জেলার জনগণ।