ঢাকা ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টি-টোয়েন্টিতেও ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • ১ বার

টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কাছে ১৩৩ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। সেইসঙ্গে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজও হারলো টাইগাররা। এর আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।

এ ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেন বাংলাদেশের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার বিদায়ী ম্যাচটি বিবর্ণই থেকে গেলো। বিদায়ী টি-টোয়েন্টিতে তার সতীর্থরা প্রতিপক্ষের সঙ্গে যে লড়াইটাও করতে পারলো না।

ওপেনার সঞ্জু স্যামসনের সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করে চার-ছক্কার উৎসবে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান করে ভারত। টি-টোয়েন্টিতে টেস্ট প্লেয়িং কোন দেশের এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান। স্যামসন ৪৭ বলে ১১১ রান করেন। জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ রান করে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।

হায়দারাবাদে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা ভারতকে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও স্যামসন। পেসার তাসকিন আহমেদের করা দ্বিতীয় ওভারের শেষ চার বলে চারটি বাউন্ডারি মারেন স্যামসন।

তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে পেসার তানজিম হাসান সাকিবের বলে ৪ রান করে আউট হন অভিষেক। দলীয় ২৩ রানে অভিষেকের বিদায়ের পর স্যামসনকে নিয়ে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ বোলারদের উপর তান্ডব চালান অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ষষ্ঠ ওভারে তানজিমের বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৯ রান নেন সূর্য।

এতে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৮২ রান পায় ভারত। টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে এটিই সর্বোচ্চ রান টিম ইন্ডিয়ার। আগেরটি ছিলো ২ উইকেটে ৮২ রান।

মাত্র ২২ বল খেলে সপ্তম ওভারেই টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করেন স্যামসন। অষ্টম ওভারে ১শতে পা রাখে ভারত।

বাংলাদেশ স্পিনার রিশাদ হোসেনের করা দশম ওভারের শেষ পাঁচ বলে ৫টি ছক্কায় ৩০ রান নেন  স্যামসন। ১০ ওভার শেষে ভারতের রান দাঁড়ায় ১ উইকেটে ১৫২। ইনিংসের অর্ধেক ওভার শেষে টি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ রান ভারতের।

১৩তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে ৩৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান স্যামসন। এজন্য ৪০ বল খেলেছেন তিনি। ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির পর মুস্তাফিজের বলে বিদায় নেন ১১টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৪৭ বলে ১১১ রান করা এই ডান-হাতি ব্যাটার।

দ্বিতীয় উইকেটে ৭০ বলে ১৭৩ রানের জুটি গড়েছেন স্যামসন ও সূর্য। দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোন দলের এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি।

স্যামসন ফেরার পরই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শিকার হন সূর্য। ৮টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৩৫ বলে ৭৫ রান করেন টিম ইন্ডিয়া অধিনায়ক। ১৪তম ওভারে ২শ’ স্পর্শ করে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দল হিসেবে দ্রুত দলীয় রান ডাবল-সেঞ্চুরিতে নেওয়ার নজির গড়ে ভারত।

২০৬ রানে সূর্য আউটের পর চতুর্থ উইকেটে ২৬ বলে ৭০ রান যোগ করেন রিয়ান পরাগ ও হার্ডিক পান্ডিয়া। এতে ৩শ’ রানের সংগ্রহ পাবার সম্ভাবনা জাগে ভারতের। কিন্তু শেষ দিকে তাসকিন ও তানজিম ৩ উইকেট নিলে বিশ্বের প্রথম টেস্ট প্লেয়িং দল হিসেবে ৩শ’ রানের মাইলফলক স্পর্শ করা থেকে বঞ্চিত হয় ভারত।

৩শ’র জন্য শেষ ওভারে ১৮ রানের দরকারে ২ উইকেট শিকার করে ১৫ রান দেন তানজিম।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান করে টিম ইন্ডিয়া।

টি-টোয়েন্টিতে এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রান। তবে টেস্ট প্লেয়িং কোন দলের এটিই সর্বোচ্চ রান। নন টেস্ট প্লেয়িং দেশ হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩ উইকেটে সর্বোচ্চ ৩১৪ রান করেছে নেপাল।

পরাগ ১৩ বলে ১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩৪ ও পান্ডিয়া ৪টি করে চার-ছক্কায় ১৮ বলে ৪৭ রান করেন। ভারতের ইনিংসে ছিলে ২২টি ছক্কা ও ২৫টি চার । টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এক ইনিংসে চার-ছক্কায় এটিই সর্বোচ্চ ২৩২ রানের বিশ্ব রেকর্ড। আগেরটি রেকর্ডে ১৪টি চার ও ২৬টি ছক্কায় ২১২ রান করেছিলো নেপাল। এমনকি টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৭টি চার-ছক্কার বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছে ভারত।

বোলিংয়ে বাংলাদেশের তানজিম ৬৬ রানে ৩ উইকেট নেন। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার লজ্জার রেকর্ড গড়লেন তানজিম। এছাড়াও তাসকিন-মুস্তাফিজ ও মাহমুদুল্লাহ ১টি করে উইকেট নেন।

২৯৮ রানের পাহাড় সমান টার্গেটে খেলতে নেমে ভারতের পেসার মায়াঙ্ক যাদবের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরেন বাংলাদেশ ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় উইকেটে মারমুখী ব্যাটিংয়ে ১৯ বলে ৩৫ রান যোগ করেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দু’জনের কেউই ২০ ঘরে পা রাখতে পারেননি। তানজিদ ১৫ ও শান্ত ১৪ রানে আউট হন।

৫৯ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়। জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি হবার পর বিচ্ছিন্ন হন তারা। ৮টি চারে ২৫ বলে ৪২ রান করা লিটনকে শিকার করেন ভারতের স্পিনার রবি বিষ্ণোই।

দলীয় ১১২ রানে লিটন আউটের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে মাহমুদুল্লাহ ৮, মাহেদি ৩ ও রিশাদ শূন্যতে আউট হন।

টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংস খেলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন হৃদয়। তার ৪২ বলের অনবদ্য ইনিংসে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো।

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ রান পর্যন্ত যেতে পারে বাংলাদেশ।

ভারতের বিষ্ণোই ৩টি ও মায়াঙ্ক ২ উইকেট নেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

টি-টোয়েন্টিতেও ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ১০:২৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কাছে ১৩৩ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। সেইসঙ্গে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজও হারলো টাইগাররা। এর আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।

এ ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেন বাংলাদেশের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার বিদায়ী ম্যাচটি বিবর্ণই থেকে গেলো। বিদায়ী টি-টোয়েন্টিতে তার সতীর্থরা প্রতিপক্ষের সঙ্গে যে লড়াইটাও করতে পারলো না।

ওপেনার সঞ্জু স্যামসনের সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করে চার-ছক্কার উৎসবে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান করে ভারত। টি-টোয়েন্টিতে টেস্ট প্লেয়িং কোন দেশের এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান। স্যামসন ৪৭ বলে ১১১ রান করেন। জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ রান করে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।

হায়দারাবাদে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা ভারতকে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও স্যামসন। পেসার তাসকিন আহমেদের করা দ্বিতীয় ওভারের শেষ চার বলে চারটি বাউন্ডারি মারেন স্যামসন।

তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে পেসার তানজিম হাসান সাকিবের বলে ৪ রান করে আউট হন অভিষেক। দলীয় ২৩ রানে অভিষেকের বিদায়ের পর স্যামসনকে নিয়ে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ বোলারদের উপর তান্ডব চালান অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ষষ্ঠ ওভারে তানজিমের বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৯ রান নেন সূর্য।

এতে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৮২ রান পায় ভারত। টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে এটিই সর্বোচ্চ রান টিম ইন্ডিয়ার। আগেরটি ছিলো ২ উইকেটে ৮২ রান।

মাত্র ২২ বল খেলে সপ্তম ওভারেই টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করেন স্যামসন। অষ্টম ওভারে ১শতে পা রাখে ভারত।

বাংলাদেশ স্পিনার রিশাদ হোসেনের করা দশম ওভারের শেষ পাঁচ বলে ৫টি ছক্কায় ৩০ রান নেন  স্যামসন। ১০ ওভার শেষে ভারতের রান দাঁড়ায় ১ উইকেটে ১৫২। ইনিংসের অর্ধেক ওভার শেষে টি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ রান ভারতের।

১৩তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে ৩৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান স্যামসন। এজন্য ৪০ বল খেলেছেন তিনি। ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির পর মুস্তাফিজের বলে বিদায় নেন ১১টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৪৭ বলে ১১১ রান করা এই ডান-হাতি ব্যাটার।

দ্বিতীয় উইকেটে ৭০ বলে ১৭৩ রানের জুটি গড়েছেন স্যামসন ও সূর্য। দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোন দলের এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি।

স্যামসন ফেরার পরই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের শিকার হন সূর্য। ৮টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৩৫ বলে ৭৫ রান করেন টিম ইন্ডিয়া অধিনায়ক। ১৪তম ওভারে ২শ’ স্পর্শ করে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দল হিসেবে দ্রুত দলীয় রান ডাবল-সেঞ্চুরিতে নেওয়ার নজির গড়ে ভারত।

২০৬ রানে সূর্য আউটের পর চতুর্থ উইকেটে ২৬ বলে ৭০ রান যোগ করেন রিয়ান পরাগ ও হার্ডিক পান্ডিয়া। এতে ৩শ’ রানের সংগ্রহ পাবার সম্ভাবনা জাগে ভারতের। কিন্তু শেষ দিকে তাসকিন ও তানজিম ৩ উইকেট নিলে বিশ্বের প্রথম টেস্ট প্লেয়িং দল হিসেবে ৩শ’ রানের মাইলফলক স্পর্শ করা থেকে বঞ্চিত হয় ভারত।

৩শ’র জন্য শেষ ওভারে ১৮ রানের দরকারে ২ উইকেট শিকার করে ১৫ রান দেন তানজিম।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান করে টিম ইন্ডিয়া।

টি-টোয়েন্টিতে এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রান। তবে টেস্ট প্লেয়িং কোন দলের এটিই সর্বোচ্চ রান। নন টেস্ট প্লেয়িং দেশ হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩ উইকেটে সর্বোচ্চ ৩১৪ রান করেছে নেপাল।

পরাগ ১৩ বলে ১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩৪ ও পান্ডিয়া ৪টি করে চার-ছক্কায় ১৮ বলে ৪৭ রান করেন। ভারতের ইনিংসে ছিলে ২২টি ছক্কা ও ২৫টি চার । টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এক ইনিংসে চার-ছক্কায় এটিই সর্বোচ্চ ২৩২ রানের বিশ্ব রেকর্ড। আগেরটি রেকর্ডে ১৪টি চার ও ২৬টি ছক্কায় ২১২ রান করেছিলো নেপাল। এমনকি টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৭টি চার-ছক্কার বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছে ভারত।

বোলিংয়ে বাংলাদেশের তানজিম ৬৬ রানে ৩ উইকেট নেন। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার লজ্জার রেকর্ড গড়লেন তানজিম। এছাড়াও তাসকিন-মুস্তাফিজ ও মাহমুদুল্লাহ ১টি করে উইকেট নেন।

২৯৮ রানের পাহাড় সমান টার্গেটে খেলতে নেমে ভারতের পেসার মায়াঙ্ক যাদবের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরেন বাংলাদেশ ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় উইকেটে মারমুখী ব্যাটিংয়ে ১৯ বলে ৩৫ রান যোগ করেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দু’জনের কেউই ২০ ঘরে পা রাখতে পারেননি। তানজিদ ১৫ ও শান্ত ১৪ রানে আউট হন।

৫৯ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়। জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি হবার পর বিচ্ছিন্ন হন তারা। ৮টি চারে ২৫ বলে ৪২ রান করা লিটনকে শিকার করেন ভারতের স্পিনার রবি বিষ্ণোই।

দলীয় ১১২ রানে লিটন আউটের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে মাহমুদুল্লাহ ৮, মাহেদি ৩ ও রিশাদ শূন্যতে আউট হন।

টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংস খেলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন হৃদয়। তার ৪২ বলের অনবদ্য ইনিংসে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো।

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ রান পর্যন্ত যেতে পারে বাংলাদেশ।

ভারতের বিষ্ণোই ৩টি ও মায়াঙ্ক ২ উইকেট নেন।