পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা ৪ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়ায় ক্রিকেটারদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে।
বেতন ছাড়াই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলছে পাকিস্তান নারী ক্রিকেটপ দল। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের মাসিক রিটেইনার, স্পনসরশিপ শেয়ার এবং কেন্দ্রীয় চুক্তির ঘোষণা বিলম্বের জন্যও পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ছে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বিশ্বের চতুর্থ ধনী ক্রিকেট বোর্ড হওয়া সত্ত্বেও সকল পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর তুলনায় তাদের নারী ক্রিকেটারদের সবচেয়ে কম পারিশ্রমিক দেয়।
শ্রীলংকার নারী ক্রিকেটাররা একটি ম্যাচ খেলার জন্য ৭৫০ ডলার পান। বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৪২৭ ডলার আর ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৮৫৪ ডলার পেয়ে থাকেন।
পিসিবি ও খেলোয়াড়দের মধ্যে আগের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সুবিধার কথা ছিল। এছাড়া লোগো স্পনসরশিপের টাকা, পিসিবি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকে যে আয় করে তার ৩ শতাংশ অর্থও পান পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা।
এবছর আইসিসির আয় থেকে বাবর আজমদের জনপ্রতি প্রায় ১০ লাখ রুপি করে পাওয়ার কথা।
পিসিবির এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বোর্ড আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডির তিনটি স্টেডিয়ামের সংস্কারে অনেক টাকা খরচ করে ফেলেছে। এছাড়া ক্রিকেট-সম্পর্কিত অন্যান্য খরচও আছে। তারপরও খেলোয়াড়দের বকেয়া পারিশ্রমিক এ মাসেই দেওয়া হবে।
পিসিবি ক্রিকেটারদের সঙ্গে নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি ২০২৬ সাল পর্যন্ত করার চিন্তা করছে। নতুন চুক্তিতে এ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এছাড়া বি, সি এবং ডি ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকও বাড়ানো হবে।