ডা.গোলসান আরা বেগমঃ
আচমকা একটি ঘুর্নিঝড় লন্ড ভন্ড করে দিলো
বত্রিশ নম্বরের বাড়িটা। যেখানে বঙ্গবন্ধু ছিলো
এগিয়ে এসে কেউ বললো না- ওরে মীরজাফর
করেছিস কি? জানিস হবে কি পরিনাম তারপর?
গুলি ফুটলো। ঝাঁঝরা হলো রুপালি চাঁদ
নিষ্টুরতায় আপন স্বজন হয়ে গেল জল্লাদ
কে জানতো রক্তে ভেসে শোকের মিছিল হবে
হাজার বছরের বরপুত্র সঙ্গে আপন হারিয়ে যাবে।
সেই থেকে ফুটে না ফুল বত্রিশ নম্বর গাছটায়
শোক পাখি একা বসে কাঁদে আর পাখা ঝাপটায়
লাঙ্গল ফেলে কৃষক বিস্ময়ে পালন করে নীরবতা
এ কী হলো? ভাবতে বসে ক্লান্ত পথিক হারায় ব্যস্ততা।
মুজিবকে হত্যা না করলে ইতিহাস হাটঁতো অন্যভাবে
লাল সবুজের পতাকাটা উড়তো নিজস্ব স্বভাবে
স্বপ্নের ধুমপান করতো বাংলা মা কে কোলো তুলে
করতো স্মরণ বরণ বঙ্গবন্ধুকে কৃতঞ্জতায় ফুলে ফুলে।
ব্যর্থতার দায়ে নিস্তব্দতা, কালো আধাঁর বলে না কথা
ব্যথার আগুনে কবি লিখে রাখে তার মনের কবিতা
গরম নিঃশ্বাস ফেলে আজো কাঁদে বাঙালি অজোরে
দুঃখের কালো পতাকা উড়ায় দেশ বিদেশের ঘরে ঘরে।
শোকের মিছিল নিয়ে বত্রিশ নম্বরে চলো
রক্ত স্রোতের বেদনার ক্ষত খুড়ে খুড়ে তোল
বীরের রক্ত কি ভাবে সিঁড়িতে গড়ায় দেখ যাও
যদি নিষ্টুরতা দেখতে চাও,বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে যাও।