প্রখ্যাত কথা-সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা এবং জানার আগ্রহ থাকার কারণেই মানুষ বিজ্ঞান সাহিত্যকে এখন জনপ্রিয় মনে করছেন। সারা বিশ্বেই বিজ্ঞান মনষ্ক লেখকদের কদর বাড়ছে। এসব লেখকের কল্পকাহিনীর ওপর নির্ভর করে বিজ্ঞানীরা গবেষণাও করছেন। সমাজে বিজ্ঞান নির্ভর সাহিত্যের অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার জাতীয় গ্রন্থাগার চত্বরে সপ্তাহব্যাপী সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভ্যাল-২০১৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, লেখকের কোনো সীমনা নেই। লেখক চাইলে তার কলমের মধ্য দিয়ে মহাবিশ্বের যেকোনো কল্পকথাকে সাহিত্যে রূপ দিতে পারেন।
Jafor
বিজ্ঞানের সাহিত্য সকলের জন্যই উপভোগ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, সায়েন্স ফিকশন কি? এক সময় তা অনেকেই জানত না। আমরা নিজেরাও হয়তো জানতাম না। আজ প্রতিটি বইয়ের দোকানে সায়েন্স ফিকশনের বই বিশেষভাবে বিক্রি হচ্ছে। প্রকাশকরা সায়েন্স ফিকশনের বই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করছেন। শুধু শিশু-কিশোররাই নয়, সব বয়সী মানুষ এই সাহিত্য পড়ে আনন্দ পেতে পারেন, মজা নিতে পারেন।
এ সময় সায়েন্স ফিকশন লেখকদের সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় সাহিত্য রচনার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।
মিস্টার নুডলস এর পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করেছে। সপ্তাহব্যাপী এ ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটির সভাপতি ও লেখক মোশতাক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন কথা-সাহিত্যিক ও মনোশিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহিত কামাল।
Jafor
এছাড়া এতে বক্তব্য রাখেন-সায়েন্স ফিকশন লেখক দীপু মাহমুদ, প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেডের চীফ অপারেশন অফিসার শেখ সাজ্জাদ হোসেন, সময় প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফরিদ হোসেন, অনিন্দ্য প্রকাশের স্বত্বাধিকারী আফজাল হোসেন, আলোচক শাহদত হোসেন এবং আমিরুল ইসলাম সবুজ।
আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন। এরপর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবিষ্কার ‘রিবো’ নামের একটি রোবটের প্রদর্শন করা হয়।
এদিকে, মেলা উপলক্ষে বই বিক্রিতে বিশেষ ছাড়া দেয়া হয়েছে। মেলা চলবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।