ঢাকা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার মুক্তির সম্ভাবনা নেই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুলাই ২০১৮
  • ৩১১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতীয় ঐক্য ছাড়া বিএনপির একার পক্ষে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এড. খন্দকার মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র যেখানে পর্যবেশিত, মানুষের অধিকার যেখানে পর্যবেশিত, সেখানে জাতীয় ঐক্য দরকার। বাংলাদেশের জাতীয় নেতারা আছে। আমি আশাকরি তারা বিএনপির আহবানে সাড়া দিয়ে জাতীয় ঐক্যের পথে আসবেন।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি জাতীয় ঐক্য যদি হয়় সরকার টিকে থাকার পথ থাকবে না। জাতীয় ঐক্য ছাড়া বিএনপির একক পক্ষে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি না।

শুক্রবার (৬ জুলাই) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টস ইউনিটির স্বাধীনতা হলে খালেদা জিয়ার জামিন ও চিকিৎসা নিয়ে সরকারের অপকৌশল বন্ধের দাবিতে নাগরিগ অধিকার আন্দোলন ফোরাম কতৃক আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুব বলেন, আজকে যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটা হলো সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য, দেশে গণতন্ত্র কায়েমের জন্য, দেশকে রক্ষার জন্য, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে রাজপথ উত্তপ্ত করা। আসুন আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটের অধিকার আদায় করি।

তিনি বলেন, আমি যেটা মনে করি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বাঘের পিঠে উঠেছেন। তিনি বাঘের পিঠ থেকে নামতে পারছেন না। শেষ পরিণতি কি হবে আমরা জানি না। তবে একদিন চলে যেতে হবে সারা বাংলাদেশের মানুষের শক্তি, ২০ দলীয় জোটের শক্তি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা তাকে বেসামাল করে দিয়েছে। আর তা যদি না হতো বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের মাটিতে একটি নির্জন কারাগারে রেখে নির্যাতন করা হতো না।

তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদ জিয়াকে তাকে শুধু কারাগারে রাখা হয়নি। তাকে মানসিকভাবে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার জন্য একটি পরিত্যক্ত কারাগারে রাখা হয়েছে। বারবার আমরা চিকিৎসার দাবি জানিয়েছি কিন্তু সরকার যে ধরেছেন তিনি তা তাদের পছন্দমত হাসপাতালে তার চিকিৎসা করাবেন। ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা তাদের ইচ্ছামতো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন কিন্তু আমাদেরকে সেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, বেগম খালেদা জিয়ার ছয়টি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আমরা ভেবেছিলাম আইনি মাধ্যমে মুক্ত করা যাবে কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে। ছয়টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলা আইন জামিনযোগ্য। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তাকে জামিন দিতে বাধ্য কিন্তু সেখানেও তালবাহানা করা হচ্ছে তাকে জামিন না দিয়ে দীর্ঘদিন আটকে রেখে তার কারা জীবনকে দীর্ঘায়িত করছে সরকার। তাই আজকে আমাদের হতাশ হলে চলবে না দেশের গণতন্ত্রকে কায়েম করতে হবে আমাদেরকে আন্দোলন করতে হবে বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া অনুপস্থিতিতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শক্তিশালী করা সম্ভব নয়, সেই কারণেই তাকে কারাগারে রাখা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই তাই রাজপথকে উত্তপ্ত করতে হবে।

প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন, আলহাজ্ব ভিপি ইব্রাহীম যুগ্ম সম্পাদক গাজীপুর জেলা বিএনপি, এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল, সাইদুর রহমান তামান্না, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, শাহজাহান মিয়া সম্রাট, ড.কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

খালেদা জিয়ার মুক্তির সম্ভাবনা নেই

আপডেট টাইম : ০৪:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুলাই ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতীয় ঐক্য ছাড়া বিএনপির একার পক্ষে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এড. খন্দকার মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্র যেখানে পর্যবেশিত, মানুষের অধিকার যেখানে পর্যবেশিত, সেখানে জাতীয় ঐক্য দরকার। বাংলাদেশের জাতীয় নেতারা আছে। আমি আশাকরি তারা বিএনপির আহবানে সাড়া দিয়ে জাতীয় ঐক্যের পথে আসবেন।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি জাতীয় ঐক্য যদি হয়় সরকার টিকে থাকার পথ থাকবে না। জাতীয় ঐক্য ছাড়া বিএনপির একক পক্ষে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি না।

শুক্রবার (৬ জুলাই) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টস ইউনিটির স্বাধীনতা হলে খালেদা জিয়ার জামিন ও চিকিৎসা নিয়ে সরকারের অপকৌশল বন্ধের দাবিতে নাগরিগ অধিকার আন্দোলন ফোরাম কতৃক আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুব বলেন, আজকে যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটা হলো সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য, দেশে গণতন্ত্র কায়েমের জন্য, দেশকে রক্ষার জন্য, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে রাজপথ উত্তপ্ত করা। আসুন আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটের অধিকার আদায় করি।

তিনি বলেন, আমি যেটা মনে করি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বাঘের পিঠে উঠেছেন। তিনি বাঘের পিঠ থেকে নামতে পারছেন না। শেষ পরিণতি কি হবে আমরা জানি না। তবে একদিন চলে যেতে হবে সারা বাংলাদেশের মানুষের শক্তি, ২০ দলীয় জোটের শক্তি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা তাকে বেসামাল করে দিয়েছে। আর তা যদি না হতো বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের মাটিতে একটি নির্জন কারাগারে রেখে নির্যাতন করা হতো না।

তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদ জিয়াকে তাকে শুধু কারাগারে রাখা হয়নি। তাকে মানসিকভাবে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার জন্য একটি পরিত্যক্ত কারাগারে রাখা হয়েছে। বারবার আমরা চিকিৎসার দাবি জানিয়েছি কিন্তু সরকার যে ধরেছেন তিনি তা তাদের পছন্দমত হাসপাতালে তার চিকিৎসা করাবেন। ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা তাদের ইচ্ছামতো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন কিন্তু আমাদেরকে সেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, বেগম খালেদা জিয়ার ছয়টি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আমরা ভেবেছিলাম আইনি মাধ্যমে মুক্ত করা যাবে কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছে। ছয়টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলা আইন জামিনযোগ্য। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তাকে জামিন দিতে বাধ্য কিন্তু সেখানেও তালবাহানা করা হচ্ছে তাকে জামিন না দিয়ে দীর্ঘদিন আটকে রেখে তার কারা জীবনকে দীর্ঘায়িত করছে সরকার। তাই আজকে আমাদের হতাশ হলে চলবে না দেশের গণতন্ত্রকে কায়েম করতে হবে আমাদেরকে আন্দোলন করতে হবে বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া অনুপস্থিতিতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শক্তিশালী করা সম্ভব নয়, সেই কারণেই তাকে কারাগারে রাখা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই তাই রাজপথকে উত্তপ্ত করতে হবে।

প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন, আলহাজ্ব ভিপি ইব্রাহীম যুগ্ম সম্পাদক গাজীপুর জেলা বিএনপি, এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল, সাইদুর রহমান তামান্না, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, শাহজাহান মিয়া সম্রাট, ড.কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।