আইপিএল অনুসারীদের কাছে সামিতের চেহারাটা চেনা। ছোটো ভাই আনভের সাথে রাজস্থান রয়্যালসের অনুশীলনে দেখা যায় তাদের। আইপিএলের এই দলটির মেন্টর দ্রাবিড়। সামিত এই বয়সেই বেশ ভালো ব্যাট করে। বাবা দ্রাবিড়ের পথেই হাটছে সীমিত । দ্রাবিড়ও বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট থেকে উঠে এসেছিলেন। তবে আসল ব্যাপার হলো ক্রিকেটে ছেলেটির আগ্রহটা খুব। এই কারণেই এক পরএকের আলো ছড়াছেন মাত্র ৯ বছরে।
বাবা যে কাজটা খুব কমই করেছেন, সেই মারকাটারি ব্যাটিংই করছে সামিত।তার ব্যার্টিংয়ে কাঁপাচ্ছে এখন ক্রিকেট মাঠ। তার ঝড়ো ৯৩ রানের ইনিংসের উপর ভর করে বেঙ্গালুরুর মাল্লিয়া আদিতি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আগে ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬৮ রান। জবাবে দিল্লির পাবলিক স্কুল থেমে যায় ৬ উইকেটে ১০৭ রান তুলতেই।
ক’দিন আগেই আরেকটি ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ৭৭ রানের ইনিংস খেলে সামিত।বরাবরই ডিফেন্সিভ খেলতে ভালবাসা দ্রাবিড়ের ছেলে হয়েছে তার বিপরীত। সামিতের পছন্দ প্রতিপক্ষ বোলারদের উপর আক্রমণ করে বসা। এই বয়সেই সে ক্রিকেটের পটু হয়ে উঠেছে।
ক্রিকেটে দ্রাবিড়ের কীর্তিও কম নয়।টেস্ট-ওয়ানডে মিলে ২৪ হাজারের উপরে রান করেছেন। ১৬৪ টেস্টে ৫২.৩১ গড়ে রান করেছেন ১৩ হাজার ২৮৮। ৩৬ সেঞ্চুরির বিপরীতে ফিফটি ৬৩টি। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ২৭০। ৩৪৪ ওয়ানডেতে দ্রাবিড়ের রান দশ হাজার ৮৮৯। গড় ৩৯.১৬। ১২ সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি করেছেন ৮৩টি। সর্বোচ্চ ১৫৩। যার বাবার এমন কীর্তি তার ছেলের তো ওরকম কিছু হওয়া চাই! কে জানে সামিত হয়তো সে পথেই হাঁটছে!