ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেনাবাহিনী দেখেই পালালেন অটোচালকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৯:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • ২ বার

রাজধানীর রামপুরায় সড়ক থেকে রিকশাচালকদের সরিয়ে দিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। দুপুর ১টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রিকশাচালকরা সড়ক ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় মানুষ ও পথচারীরাও রিকশাচালকদের ধাওয়া করে।

এদিকে সকাল থেকেই রাজধানীর আগারগাঁও, কল্যাণপুর, গাবতলী, টেকনিক্যাল, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, পল্লবী, ডেমরা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা।

ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইয়াসিনা ফেরদৌস ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘মিরপুর-১০ নম্বরে আপাতত যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আন্দোলনরত ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা মিরপুর-১০ নম্বরে অবস্থান করছেন। আমাদের ট্রাফিকের লোকজন কাজ করছে। আপাতত মিরপুর-১০ নম্বর দিয়ে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে।’

এছাড়া মহাখালী এলাকার রেল লাইনের ওপর রিকশাচালকরা অবস্থান নেওয়ায় ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে বললে তারা উল্টো পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এরপর সেনাবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে এদিক-ওদিকে পালিয়ে যান। পরে আবার তাদের রেলগেটের পাশের সড়কে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রিকশাচালকদের মধ্যে কয়েকজন আবার মহাখালী এলাকার একটি শপিংমলেও ভাঙচুর তাণ্ডব চালিয়েছে।

এদিকে দাবি দাওয়া প্রসঙ্গে মহাখালী এলাকায় অটোরিকশা চালকরা বলেন, ‘আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছেড়ে যাব না। ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্তে আমাদের পেটে লাথি দেওয়া হয়েছে। আমরা এখন কী করব, চুরি করব, না ছিনতাই করব। রিকশা না চালাতে পারলে আমরা কী করে চলব, কীভাবে টাকা আয় করব। তাই পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনী যত চেষ্টাই করুক না কেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছেড়ে যাব না।’

তারা আরও বলছেন, ‘আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আমরা সকাল থেকে মহাখালী এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিনা উস্কানিতে আমাদের লাঠিপেটা করে। আমরা তো আমাদের পেটের দায়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে। তাহলে কেন বিনা কারণে আমাদের এভাবে মারা হলো।’

এর আগে গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন আদালত।

আদালতের নির্দেশনার পর গতকাল রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড়ে অটোরিকশা চালকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে রিকশাচালকদের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সেনাবাহিনী দেখেই পালালেন অটোচালকরা

আপডেট টাইম : ০৬:৩৯:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর রামপুরায় সড়ক থেকে রিকশাচালকদের সরিয়ে দিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। দুপুর ১টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রিকশাচালকরা সড়ক ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় মানুষ ও পথচারীরাও রিকশাচালকদের ধাওয়া করে।

এদিকে সকাল থেকেই রাজধানীর আগারগাঁও, কল্যাণপুর, গাবতলী, টেকনিক্যাল, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, পল্লবী, ডেমরা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা।

ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইয়াসিনা ফেরদৌস ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘মিরপুর-১০ নম্বরে আপাতত যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আন্দোলনরত ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা মিরপুর-১০ নম্বরে অবস্থান করছেন। আমাদের ট্রাফিকের লোকজন কাজ করছে। আপাতত মিরপুর-১০ নম্বর দিয়ে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে।’

এছাড়া মহাখালী এলাকার রেল লাইনের ওপর রিকশাচালকরা অবস্থান নেওয়ায় ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে বললে তারা উল্টো পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এরপর সেনাবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে এদিক-ওদিকে পালিয়ে যান। পরে আবার তাদের রেলগেটের পাশের সড়কে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রিকশাচালকদের মধ্যে কয়েকজন আবার মহাখালী এলাকার একটি শপিংমলেও ভাঙচুর তাণ্ডব চালিয়েছে।

এদিকে দাবি দাওয়া প্রসঙ্গে মহাখালী এলাকায় অটোরিকশা চালকরা বলেন, ‘আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছেড়ে যাব না। ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্তে আমাদের পেটে লাথি দেওয়া হয়েছে। আমরা এখন কী করব, চুরি করব, না ছিনতাই করব। রিকশা না চালাতে পারলে আমরা কী করে চলব, কীভাবে টাকা আয় করব। তাই পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনী যত চেষ্টাই করুক না কেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছেড়ে যাব না।’

তারা আরও বলছেন, ‘আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আমরা সকাল থেকে মহাখালী এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিনা উস্কানিতে আমাদের লাঠিপেটা করে। আমরা তো আমাদের পেটের দায়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে। তাহলে কেন বিনা কারণে আমাদের এভাবে মারা হলো।’

এর আগে গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন আদালত।

আদালতের নির্দেশনার পর গতকাল রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড়ে অটোরিকশা চালকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে রিকশাচালকদের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।