প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়ে এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, তিনি জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চান। আজ বৃহস্পতিবার বেসরকারি সময় টেলিভিশনকে দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।
এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমি একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই জাতিকে। এর জন্য কী কী করতে হবে সেটা আমি বোঝার চেষ্টা করব। কোন কোন জায়গায় হাত দিতে হবে, আমি সেই কাজটা করব।’
তিনি বলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান যে বদিউল আলমের (বদিউল আলম মজুমদার) মতো একজন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে একটা রিফর্ম কমিশন কাজ করছে। সুতরাং, অসুবিধা হবে না সমস্যাগুলো বুঝতে। যেখানে যেখানে লুপহোলস থাকবে, সেগুলো ফ্ল্যাগস দিয়ে বন্ধ করাই হবে আমার কাজ।’
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কী কী ব্যবস্থা নেবেন, জানতে চাইলে নবনিযুক্ত সিইসি বলেন, ‘আমি এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নেব, যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দিতে পারবে। সেই ব্যবস্থা আমি করব। সেটাই আমার কমিটমেন্ট এবং চেষ্টা হবে।’
সিইসি হিসেবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কাগজপত্র পাননি জানিয়ে এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দায়িত্ব। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে দায়িত্বটা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে। মানুষের যে আত্মত্যাগ ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ গত তিনটা ইলেকশনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার যে গুরুদায়িত্ব সেটা কাঁধে নিয়েই আমি আগাব। আগের নির্বাচনগুলো থেকে আমি আমি একটা শিক্ষা পেয়েছি। সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে সেরকম নির্বাচন যেন না হয় সেরকম ব্যবস্থা নেব।’
আজ অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে সিইসি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আজ এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনার পদে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা হলেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব বেগম তহমিদা আহমদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।