হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘পদ্মাবতী’কে সমর্থন করায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাক কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা সুরজ পাল আমু।
মমতাকে ‘সূর্পনখা’-র সঙ্গেও তুলনা করেছেন তিনি।
এর আগে সুরজ পাল আমু ‘পদ্মাবতী’ চরিত্রের শিল্পী দীপিকা পাড়ুকোন এবং ছবিটির পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করে দল থেকে শোকজ নোটিস পেয়েছিলেন।
দলের সে নিষেধাজ্ঞাকে অগ্রাহ্য করে আজ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাক কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
আমু বলেন, জানতে পেরেছি, মমতা কলকাতায় সঞ্জয় লীলা বনশালীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু তাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, এটা রামের ভাই লক্ষ্মণের ভূমি। এটা উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই যে, লক্ষ্মণ সূর্পনখা-র কী অবস্থা করেছিল।
‘পদ্মাবতী’ নিয়ে বিরোধিতা চলছে। এ নিয়ে রাজস্থান তো বটেই, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশেও এ ছবির মুক্তিতে প্রবল আপত্তি উঠেছে। পাশাপাশি, এ ছবিকে অনেকেই সমর্থন জানিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাদের একজন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনশালীসহ ‘পদ্মাবতী’র গোটা টিমকে পশ্চিমবঙ্গে ছবিটির প্রোমোশনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
পদ্মাবতীকে সমর্থন করে মমতা জানিয়েছিলেন, যদি অন্য কোনো রাজ্যে এই ছবি মুক্তি না পায়, পশ্চিমবঙ্গে এই ছবির প্রোমোশনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।
সুরজ পাল আমু কয়েক দিন আগে হুমকি দিয়েছিলেন, দীপিকা পাড়ুকোনের মাথা কেটে নিতে পারলে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, যদি দেশে এই ছবি মুক্তি পায়, তা হলে রাজপুত সম্প্রদায়ের সদস্যরা সমস্ত সিনেমা হল জ্বালিয়ে দেবে।
রাজপুত করণী সেনার বিরোধিতার সমালোচনা করায় আমুর হুমকি থেকে বাদ পড়েননি অভিনেতা রণবীর সিংহও। তার পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন হরিয়ানা রাজ্যের এই বিজেপি নেতা।