মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গমাতা বেগম মুজিবের নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব কেবল জাতির পিতার সহধর্মিণীই নন, বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে অন্যতম এক অগ্রদূত। আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রপতি আজ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বানীতে একথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আমৃত্যু স্বামীর পাশে থেকে দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখেছেন। রাজনৈতিক বিভিন্ন কারণে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম ও আন্দোলনে তিনি মূল্যবান পরামর্শ দিতেন ও সহযোগিতা করতেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কার মাঝেও তিনি অসীম ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। দেশ ও জাতির জন্য অপরিসীম ত্যাগ, সহমর্মিতা, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতা তাঁকে বঙ্গমাতায় অভিষিক্ত করেছে।
আবদুল হামিদ বলেন, নির্লোভ, নিরহঙ্কার ও পরোপকারী জীবনে পার্থিব বিত্তবৈভব বা ক্ষমতার জৌলুস কখনো বঙ্গমাতাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। তিনি সবসময় অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বামী-পুত্র-পুত্রবধূসহ নিকট আত্মীয়ের সাথে তিনি ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে নির্মমভাবে শহিদ হন।
জাতির ইতিহাসে একে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন,বঙ্গমাতা আমাদের মাঝে না থাকলেও তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ যুগ যুগ ধরে আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর