বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ শনিবার শীর্ষে অবস্থান করছে নেপালের কাঠমান্ডু। তবে রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান পূর্বের দিনগুলোর তুলোনায় আজ কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
সকাল ১০টায় একিউআইয়ের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৭০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে ছিল নেপালের কাঠমান্ডু। শহরটির বায়ুমান সব বয়সী মানুষের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’।
তবে একই সময়ে ১৩২ স্কোর নিয়ে তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান ছিল ১০তম স্থানে। একিউআইয়ের নির্ধারিত মানদণ্ডে ঢাকার বাতাসের গুণমান বেড়েছে।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, এ শহরের স্কোর ছিল ১৭০। তৃতীয় অবস্থানে ছিল থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই, এ শহরের স্কোর ছিল ১৬০।
চলতি বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত দূষণের যে তথ্য রেকর্ড করেছে আইকিউএয়ার, তাতে বায়ুদূষণে দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ। প্রথম স্থানে আছে আফ্রিকার দেশ চাদ। গত বছরও সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশ ছিল বাংলাদেশ ও চাদ।
বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।