বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ সরকারের সদ্য প্রণীত *সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫* অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে। পরিষদের মহাসচিব বদরুল আলম সবুজ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা বরাবর এক লিখিত দাবিনামা পেশ করেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নতুন অধ্যাদেশে কর্মচারীদের পেশাগত সুরক্ষা ও সমস্যা সমাধানের কোনও দিকনির্দেশনা না রেখে বরং স্বল্প সময়ে চাকরিচ্যুতির সুযোগ রেখে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে, যা সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ভয় ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এরই প্রেক্ষিতে সচিবালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে কর্মচারীদের মধ্যে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে।
৫ দফা প্রধান দাবি তুলে ধরা হয়:।
১. বৈষম্য নিরসনে ১০ ধাপে বেতন নির্ধারণসহ অবিলম্বে ৯ম বেতন কমিশন গঠন।
২. টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও শতভাগ পেনশন পুনর্বহাল, পেনশন গ্রাচ্যুইটির হার ৫০০ টাকা নির্ধারণ।
৩. সচিবালয়ের আদলে সকল দপ্তরে অভিন্ন নিয়োগবিধি ও সমকাজে সমবেতন বাস্তবায়ন।
৪. ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা, ২০% বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, রেশন প্রদান ও আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রথা বাতিল।
৫. আইএলও সনদের ৮৭ ও ৯৮ ধারা অনুযায়ী ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার প্রদান।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, অতীতে বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বাস্তবায়নে সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ নানা রকম হয়রানি, মামলাসহ চাকরিচ্যুতির শিকার হয়েছেন। ১৬ বছরের আন্দোলনের পরও সরকারি কর্মচারীরা এখনও আর্থিক ও প্রশাসনিক বৈষম্যের মধ্যে রয়েছেন।
এ অবস্থায় কর্মচারীদের দাবি পূরণে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছে পরিষদ।
প্রয়োজনে এটি আরও সংক্ষিপ্ত বা অনলাইন পোর্টালের উপযোগী ফরম্যাটে দিতে পারি। জানাবেন কীভাবে চান?