ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস তিনজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। বিনিময়ে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরায়েলিরা হলেন এলি শারাবি, ওহাদ বেন আমি, ও অর লেভি। শনিবার তাদের রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং পরে তারা ইসরায়েলে ফিরে নিজ পরিবারদের সঙ্গে যুক্ত হন।
তবে শারাবির শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। যুক্তরাজ্যে থাকা তার পরিবার জানান, তিনি অস্থিচর্মসার অবস্থায় ছিলেন। অন্যদিকে, মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের নিয়ে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় উৎসব চলছে, তবে তাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে।
১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির পর এ পর্যন্ত ২১ জন ইসরায়েলি জিম্মি ও ৫৬৬ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছে। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে আরও ৩৩ জন জিম্মি ও ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।
এদিন মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭০ জনকে যাবজ্জীবন কিংবা দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল, ১১১ জনকে গাজা যুদ্ধের সময় আটক করা হয়েছিল। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সাতজনকে রামাল্লার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো ইসরায়েলে হামলা চালালে ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জন জিম্মি হন। এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণে ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে উপত্যকার বেশিরভাগ ঘরবাড়ি।
শুক্রবার হামাস গাজায় মানবিক সহায়তা আনার বিষয়ে অঙ্গীকার রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ করেছে। গাজায় হামাসের মিডিয়া অফিসের প্রধান বলেন, ইসরায়েলি বাধার কারণে মানবিক পরিস্থিতিতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।