ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিটরুট খেলে পাবেন এই ১০ উপকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১১ বার

চমৎকার রঙিন সবজি বিটরুট। ক্যালসিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিংক, আয়োডিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের দারুণ উৎস বিটরুট। এছাড়া ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, রিবোফ্লাবিন (ভিটামিন বি২) ও পটাশিয়াম মেলে উপকারী এই সবজি থেকে। নিয়মিত বিটরুট খেলে দারুণ কিছু উপকার পাওয়া যাবে।

১. দশটি সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সবজির মধ্যে একটি বিটরুট। ফলে শরীরকে অক্সিডেশন নামক একটি প্রক্রিয়ার ক্ষতিকারক প্রভাবগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে সবজিটি।

২. শক্তিশালী উদ্ভিদ রঙ্গক বেটাসায়ানিন রয়েছে বিটরুটে। এই উপাদানের কারণেই এমন প্রাণবন্ত লাল রঙের হয় এই সবজি। এটি মূত্রাশয় ক্যানসারসহ কিছু ক্যানসারের বিকাশকে দমন করতে সাহায্য করে। বিটরুটে ফেরিক অ্যাসিডসহ আরও কয়েক ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধী যৌগ রয়েছে।

৩. কিছু গবেষণা বলছে, বিটরুটে থাকা বেটালাইনস নামক উপাদান প্রদাহের লক্ষণ কমাতে সহায়তা করে। হাঁটুর মতো স্ফীত জয়েন্টগুলোর অস্বস্তিও দূর করে উপাদানটি।

৪. বিটরুট প্রাকৃতিকভাবে নাইট্রেট নামক যৌগ সমৃদ্ধ। এই যৌগ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এর কারণ হলো নাইট্রেট রক্তনালীগুলোকে শিথিল করে রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে, যা রক্তচাপ কমায়। রক্তচাপ কমে গেলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

৫. শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে বিটরুট। ব্যায়ামের পরে যখন পেশী ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন বিটরুটের নাইট্রেটগুলো পেশী কোষকে আরও অক্সিজেন আনতে সাহায্য করে। ফলে দ্রুত শক্তি ফিরে পাই আমরা।

৬. বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ফাইবারের পাশাপাশি বেটাওয়েন অন্ত্রে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।

৭. বিটরুট গ্লুটামিনের অন্যতম সমৃদ্ধ উদ্ভিজ্জ উৎস। এটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা আমাদের অন্ত্রের আস্তরণের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অপরিহার্য। গ্লুটামিন আঘাত এবং চাপ থেকে অন্ত্রের আস্তরণ রক্ষায় ভূমিকা পালন করে।

৮. গবেষণা বলছে, নিয়মিত ব্যায়াম করলে এবং ডায়েটে বিটরুট অন্তর্ভুক্ত করলে মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোবে রক্ত প্রবাহ উন্নত হয়। ফলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

৯. মেনোপজের পর রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। নাইট্রেট সমৃদ্ধ শাকসবজি এ সময় খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা ভীষণ জরুরি। মেনোপজ পরবর্তী সুস্থতার জন্য বৈচিত্র্যময় ও সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে বিটরুট খাওয়া চাই নিয়মিত।

১০. আঙুল এবং পায়ের রক্ত সঠিকভাবে প্রবাহিত না হলে ব্যথা এবং অসাড়তার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। বিটরুটের রস এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বিটরুট খেলে পাবেন এই ১০ উপকার

আপডেট টাইম : ০৭:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

চমৎকার রঙিন সবজি বিটরুট। ক্যালসিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিংক, আয়োডিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের দারুণ উৎস বিটরুট। এছাড়া ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, রিবোফ্লাবিন (ভিটামিন বি২) ও পটাশিয়াম মেলে উপকারী এই সবজি থেকে। নিয়মিত বিটরুট খেলে দারুণ কিছু উপকার পাওয়া যাবে।

১. দশটি সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সবজির মধ্যে একটি বিটরুট। ফলে শরীরকে অক্সিডেশন নামক একটি প্রক্রিয়ার ক্ষতিকারক প্রভাবগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে সবজিটি।

২. শক্তিশালী উদ্ভিদ রঙ্গক বেটাসায়ানিন রয়েছে বিটরুটে। এই উপাদানের কারণেই এমন প্রাণবন্ত লাল রঙের হয় এই সবজি। এটি মূত্রাশয় ক্যানসারসহ কিছু ক্যানসারের বিকাশকে দমন করতে সাহায্য করে। বিটরুটে ফেরিক অ্যাসিডসহ আরও কয়েক ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধী যৌগ রয়েছে।

৩. কিছু গবেষণা বলছে, বিটরুটে থাকা বেটালাইনস নামক উপাদান প্রদাহের লক্ষণ কমাতে সহায়তা করে। হাঁটুর মতো স্ফীত জয়েন্টগুলোর অস্বস্তিও দূর করে উপাদানটি।

৪. বিটরুট প্রাকৃতিকভাবে নাইট্রেট নামক যৌগ সমৃদ্ধ। এই যৌগ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এর কারণ হলো নাইট্রেট রক্তনালীগুলোকে শিথিল করে রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে, যা রক্তচাপ কমায়। রক্তচাপ কমে গেলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

৫. শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে বিটরুট। ব্যায়ামের পরে যখন পেশী ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন বিটরুটের নাইট্রেটগুলো পেশী কোষকে আরও অক্সিজেন আনতে সাহায্য করে। ফলে দ্রুত শক্তি ফিরে পাই আমরা।

৬. বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ফাইবারের পাশাপাশি বেটাওয়েন অন্ত্রে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।

৭. বিটরুট গ্লুটামিনের অন্যতম সমৃদ্ধ উদ্ভিজ্জ উৎস। এটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা আমাদের অন্ত্রের আস্তরণের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অপরিহার্য। গ্লুটামিন আঘাত এবং চাপ থেকে অন্ত্রের আস্তরণ রক্ষায় ভূমিকা পালন করে।

৮. গবেষণা বলছে, নিয়মিত ব্যায়াম করলে এবং ডায়েটে বিটরুট অন্তর্ভুক্ত করলে মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোবে রক্ত প্রবাহ উন্নত হয়। ফলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

৯. মেনোপজের পর রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। নাইট্রেট সমৃদ্ধ শাকসবজি এ সময় খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা ভীষণ জরুরি। মেনোপজ পরবর্তী সুস্থতার জন্য বৈচিত্র্যময় ও সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে বিটরুট খাওয়া চাই নিয়মিত।

১০. আঙুল এবং পায়ের রক্ত সঠিকভাবে প্রবাহিত না হলে ব্যথা এবং অসাড়তার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। বিটরুটের রস এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।