খাবার খেতে খেতে অনেকেরই পানি খাওয়ার অভ্যাস আছে। অনেকে আবার একবারে খাবার খেয়েই পানি খান। এর পিছনে হজমের একটি যুক্তি দেন অনেকে। কোনটি আসলে ঠিক?
পানি খেতে কেন বারণ করা হয় ?
অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়:অনেকে মনে করেন, খাবার খাওয়ার মধ্যে পানি খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। এ কারণে পানি খেতে নিষেধ করা হয়।
হজমের সমস্যা : কারও কারও মতে, খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে পানি খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। মনে করা হয়, খাবার খেতে খেতে পানি খেলে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। কারণ পেটে থাকা অ্যাসিড ও উৎসেচকগুলি খাবারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। এর ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। খাবার থেকে পুষ্টিগুণ শরীর ঠিকভাবে শুষে নিতে পারে না। কিন্তু পানি না থাকলে সেই কাজে বাধা তৈরি হয় না।
পুষ্টিগুণ ঠিকমতো শোষণ হয় না : খাবারের মাঝে পানি খেলে পেটে পানি দিয়েও ভরা থাকে। এর ফলে খাবারের পুষ্টিগুণ শরীর ঠিকমতো শুষে নিতে পারে না।
ওজন বেড়ে যায় : অনেকের ধারণা, খাবার খেতে খেতে পানি খেলে ওজন অনেকটা বেড়ে যায়। এ কারণে খাওয়ার পরে পানি খান।
উপরোক্ত সবই প্রচলিত ধারণা। ২০১৪ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, জিইআরডি বা গ্য়াস্ট্রোএসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজে ভোগা রোগীদেরই মুলত খাওয়ার ফাঁকে পানি খেতে বারণ করেন বিশেষজ্ঞরা। এর কারণ পানি খেলে পেটে মোট খাবারের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা উপরের দিকে চাপ তৈরি করে। তবে জিইআরডি অর্থাৎ গ্য়াস্ট্রোএসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজের সমস্যা সকলের থাকে না। তাই সবারই যে একই নিয়ম মানতে হবে এমন কোনো যুক্তি নেই।
গ্য়াস্ট্রোএসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ আসলে কী ?
পেটের অ্যাসিড উপরের দিকে উঠে এলে জিইআরডি-র সমস্যা হয়। এই রোগে পেটের অ্যাসিড খাদ্যনালি বরাবর গলার কাছে উঠে আসে। যাকে আমরা বুক জ্বালা, গলা জ্বালার সমস্যা বলে থাকি। এই সমস্যা থাকলে খাবারের মাঝে পানি না খাওয়াই ভাল।