কাজী সালাউদ্দিনের যুগ শেষ করে গত ২৬ অক্টোবরের নির্বাচনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি নির্বাচিত হন তাবিথ আউয়াল। নির্বাচিত হয়েই বিদেশে গিয়েছিলেন তিনি। আজ সভাপতি হিসেবে প্রথমবারের মতো বাফুফে আসেন তাবিথ।
তাবিথসহ বাফুফেতে আজ ১৮ জন নতুন নির্বাচিত কমিটির উপস্থিত ছিলেন। বিদেশ থাকায় আসতে পারেননি দুই জন। আজ প্রথমে ফেডারেশনের বেতনভুক্ত স্টাফ ও পরবর্তীতে সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে দীর্ঘ প্রায় আধা ঘণ্টা কথা বলেন তিনি।
শুরুতেই তাবিথ বলেন, ‘আজ আমরা সব স্টাফের সঙ্গে বসেছি, সর্বোচ্চ স্টাফ থেকে ক্লিনার পর্যন্ত সবার সঙ্গে পরিচিতি সভা করেছি। পরপরই মেয়েদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। আগামী দিনের কিছু পরিকল্পনার কথা বলেছি।…একটা নতুন কমিটি, উৎসবের জায়গা, এত সিরিয়াস হওয়ার কিছু নেই। খেলার মনমানসিকতা নিয়ে আমরা আগামী চার বছর পালন করতে চাই।’
সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের পুরস্কার দেওয়ার ব্যাপারে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘৯ নভেম্বর আমাদের প্রথম সভায় নির্বাহী কমিটিতে পাস করে মেয়েদের পুরস্কারের ব্যাপারে একটা ঘোষণা দেব।’
এর আগে ২০২২ সালে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার অল্প উপহার দিয়েও বেশি প্রচার হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাবিথ বলেন, ‘এটাকে প্রশ্ন নয়, পরামর্শ হিসেবে নিলাম। বিষয়টা নিয়ে আমরা সচেতন থাকব।’
এর আগে, বাফুফের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাবিথ। এবার ফিরেছেন সভাপতি হয়ে। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘নতুন সভাপতি হওয়ার রোমাঞ্চটা এখনো আমার মাথায় খেলছে না। এখনো স্বপ্নের ভেতর আছি নাকি স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়ে গেছে, সেটা বুঝতে পারছি না। একদিন না একদিন সভাপতি হব, এই স্বপ্ন ছিল। কিন্তু কবে কোন তারিখে বা কোন দিনে ঘুমের ভেতরে চিন্তা করেছি যে সভাপতি হব নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। ২০১২ সালে প্রথমবার বাফুফের সহ-সভাপতি হয়ে চিন্তা ছিল একদিন সভাপতি পদে লড়ব। কিন্তু তা এত শিগগির বাস্তবায়ন হবে ভাবিনি। অবশ্যই গর্বিত।’