দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস পর ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে দীর্ঘদিন না খেললেও পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে বোলিংটা দারুণ করেছে বাংলাদেশ। আফগান ব্যাটারদের ওপর দাপট দেখিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ করে মোস্তাফিজের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে আফগানিস্তানের টপ অর্ডার।
১০ ওভার শেষে আফগানিস্তান তাদের স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩৬ রান। ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়েছেন তাসকিন, আর রহমত শাহ, সেদিকুল্লাহ আতাল ও আজমাতুল্লাহ ওমারজাইকে শিকার বানিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। শরিফুল উইকেট না পেলেও রান দেওয়ায় বেশ কৃপণতা দেখিয়েছেন। ১১ ওভার শেষে দলটির রান ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৭।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় আফগানিস্তান। বিকাল ৪টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচে শুরু থেকেই আঁটসাঁট বোলিং করেন তাসকিন ও শরিফুল। দ্বিতীয় ওভারেই টাইগারদের সাফল্য এনে দেন তাসকিন। গুরবাজকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন এই পেসার। তিনে নেমে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেও পারেননি রহমত। ১৩ বলে ২ রান করার পর তাকে সেই উইকেটের পেছনেই ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মোস্তাফিজ।
ইমার্জিং এশিয়া কাপে দুরন্ত ফর্ম নিয়ে আফগানিস্তান দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন সেদিকুল্লাহ আতাল। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ম্যাচেও দারুণ ব্যাট করছিলেন তিনি। তবে মোস্তাফিজের বোলিংয়ে তার সেই ব্যাটিং বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো আফগানিস্তান আর ৫ রান যোগ করতেই আতালকে হারায়। দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মোস্তাফিজ। ৩০ বলে ৩টি চারে ২১ রান আসে এই ওপেনারের ব্যাটে। একই ওভারে আবারও দ্য ফিজের আঘাত। ওভারের পঞ্চম বলে আজমাতুল্লাহ ওমারজাই উইকেটের পেছনেই মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। বিপদ বাড়ে আফগানদের।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশ সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে নিউজিল্যান্ডে। সেই সিরিজে ও বর্তমান বাংলাদেশ স্কোয়াডে পরিবর্তন হয়েছে আগেই। ফলে একাদশেও পরিবর্তন অনুমিতই ছিল। চোটের কারণে সর্বশেষ ওয়ানডে দলে থাকা তানজিম হাসান সাকিব নেই। অসুস্থতার কারণে নেই লিটন দাসও। ফলে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে আছেন তানজিদ হাসান তামিম। তিন পেসার (তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম) নিয়ে একাদশ গড়েছে বাংলাদেশ, সঙ্গে আছেন লেগস্পিন অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ।