ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিমানযাত্রার মতো সুস্থ থাকলে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়া হবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩০:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৩ বার

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় পৌঁছান তিনি। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বাসায় নেওয়া হয়। ১২ সেপ্টেম্বর ভোরে অসুস্থবোধ করায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ম্যাডাম খালেদা জিয়া সব কিছু টেলিভিশনে দেখছিলেন। তখন উনি বলেছিলেন, এই দিনটা দেখার খুব প্রয়োজন ছিল। তবে তিনি বলেছিলেন, নেতাকর্মী ও দেশের মানুষ কেউ যেন নিজের হাতে আইন তুলে না নেন। প্রতিহিংসাপরায়ণ না হোন। আন্দোলনে যে ছেলেটির হাত চলে গেছে, পা-চোখ চলে গেছে, উনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য দল যাতে সবটুকু সামর্থ্য নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ায়। সরকার তো সরকারের মতো করবেই। এজন্য খালেদা জিয়া মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের পঙ্গু ও চক্ষু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। চেয়ারপারসন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা  করছি।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুটা সুস্থতাবোধ করছেন। ক্রনিক লিভার ডিজিজ এমন একটা ডিজিজ, সাময়িকভাবে কিছুদিন সুস্থ থাকেন, আবার কয়েকদিন পর অসুস্থ হয়ে যান। এজন্য তার স্থায়ী চিকিৎসার জন্য মালটি ডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স সেন্টারে নেওয়া প্রয়োজন। এখন বাসায় চিকিৎসা চলবে।

ডা. জাহিদ বলেন, বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিমানযাত্রার যে সময়। যখন সুস্থ মানুষও প্লেনে উঠে, উঠা ও নামার সময় যে স্ট্রেস তা উনি সহ্য করতে পারবেন কি পারবেন না সেটা দেখতে হবে। উনার শারীরিক সুস্থতা হচ্ছে এক নম্বর অগ্রাধিকার। এজন্য মেডিকেল বোর্ড যখনই প্রয়োজনবোধ করবে বাইরে পাঠানো যায়, আমরা তখনই নিয়ে যাবো। বিমানযাত্রা করার মতো সুস্থতা লাভ করলেই তাকে বিদেশে নেওয়া হবে।

বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মেডিকেল প্রস্তুতি যেটা দরকার তা কমপ্লিট। আমেরিকা ও যুক্তরাজ্যের দুটি হাসপাতালেরই কনসালট্যান্ট থেকে শুরু করে সবকিছু ফাইনাল করে রেখেছি। আমরা কিভাবে নেব তাও ঠিক করে রেখেছি। আইনগত দিক যা আছে সে ব্যাপারে বর্তমান সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছি। এখন বিষয়টি উনার শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিমানযাত্রার মতো সুস্থ থাকলে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়া হবে

আপডেট টাইম : ১০:৩০:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় পৌঁছান তিনি। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বাসায় নেওয়া হয়। ১২ সেপ্টেম্বর ভোরে অসুস্থবোধ করায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ম্যাডাম খালেদা জিয়া সব কিছু টেলিভিশনে দেখছিলেন। তখন উনি বলেছিলেন, এই দিনটা দেখার খুব প্রয়োজন ছিল। তবে তিনি বলেছিলেন, নেতাকর্মী ও দেশের মানুষ কেউ যেন নিজের হাতে আইন তুলে না নেন। প্রতিহিংসাপরায়ণ না হোন। আন্দোলনে যে ছেলেটির হাত চলে গেছে, পা-চোখ চলে গেছে, উনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য দল যাতে সবটুকু সামর্থ্য নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ায়। সরকার তো সরকারের মতো করবেই। এজন্য খালেদা জিয়া মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের পঙ্গু ও চক্ষু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। চেয়ারপারসন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা  করছি।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুটা সুস্থতাবোধ করছেন। ক্রনিক লিভার ডিজিজ এমন একটা ডিজিজ, সাময়িকভাবে কিছুদিন সুস্থ থাকেন, আবার কয়েকদিন পর অসুস্থ হয়ে যান। এজন্য তার স্থায়ী চিকিৎসার জন্য মালটি ডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স সেন্টারে নেওয়া প্রয়োজন। এখন বাসায় চিকিৎসা চলবে।

ডা. জাহিদ বলেন, বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিমানযাত্রার যে সময়। যখন সুস্থ মানুষও প্লেনে উঠে, উঠা ও নামার সময় যে স্ট্রেস তা উনি সহ্য করতে পারবেন কি পারবেন না সেটা দেখতে হবে। উনার শারীরিক সুস্থতা হচ্ছে এক নম্বর অগ্রাধিকার। এজন্য মেডিকেল বোর্ড যখনই প্রয়োজনবোধ করবে বাইরে পাঠানো যায়, আমরা তখনই নিয়ে যাবো। বিমানযাত্রা করার মতো সুস্থতা লাভ করলেই তাকে বিদেশে নেওয়া হবে।

বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মেডিকেল প্রস্তুতি যেটা দরকার তা কমপ্লিট। আমেরিকা ও যুক্তরাজ্যের দুটি হাসপাতালেরই কনসালট্যান্ট থেকে শুরু করে সবকিছু ফাইনাল করে রেখেছি। আমরা কিভাবে নেব তাও ঠিক করে রেখেছি। আইনগত দিক যা আছে সে ব্যাপারে বর্তমান সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছি। এখন বিষয়টি উনার শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করছে।