ঢাকা ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সংবাদ প্রকাশের পরও গুরুত্ব দেয়নি এলজিইডি, ব্রীজের এ্যাপ্রোচ এখন নদীতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে মিললো বিশাল সুখবর শরতে কাশফুলের রাজ্যে টানা ৪ দিনের ছুটিতে টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় মধ্যরাত থেকে ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ বাফুফে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন যারা শেখ হাসিনার ‘ট্রাভেল ডকুমেন্ট’ নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এমন দেশ গড়তে চাই, সব সম্প্রদায়ের সমান অধিকারের বাংলাদেশ : প্রধান উপদেষ্টা- জ্বালানি সংকট দূর করতে বাপেক্স আরও ১৫০ কূপ খনন করবে: জ্বালানি উপদেষ্টা ইংল্যান্ড আমাদের সঙ্গে ৮০০ করে, বাংলাদেশও হারায়

২০ সরকারি প্রতিষ্ঠানের এলসি দায় ১১ বিলিয়ন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১০ বার

দেশে ডলার-সংকট ক্রমান্বয়ে কমছে—কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমনটা দাবি করলেও বাস্তবে তা দৃশ্যমান নয়। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আমদানির জন্য খোলা ঋণপত্রের (এলসি) বিল পরিশোধের মতো প্রয়োজনীয় ডলার নেই ব্যাংকগুলোর কাছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারি শীর্ষস্থানীয় ২০ প্রতিষ্ঠানের এলসি মেয়াদোত্তীর্ণ আমদানি বিলের দায় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৬ কোটি (১১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন) ডলার। আর বেসরকারি খাতের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের দায় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০ মিলিয়ন বা ৭ কোটি ডলার। ৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার দায় নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এলসির দায় ৫২ কোটি ডলার। বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) ৪৪ কোটি ডলার। ডিরেক্টর জেনারেল ডিফেন্স পারচেজের (ডিজিডিপি) প্রায় ৩৪ কোটি ডলার। নৌবাহিনীর ২৯ কোটি ডলার।

সূত্র জানায়, বিগত সরকারের আমলের দায়গুলোই এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে দায়ের ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা দরকার। তা না হলে বাড়তি সুদ দিতে হবে; পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো বকেয়ার জন্য বাড়তি অর্থ চার্জ করবে।

আর একেবারে বেশি বিলম্ব হলে একটা পর্যায়ে বাংলাদেশের এলসি খোলার জন্য বিমুখ হবে বিদেশি অনেক ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, চলতি অর্থবছরে ১০ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১২ বিলিয়ন ডলার। তবে এ সময় আমদানির পরিমাণ কমেনি; বরং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটরিংয়ের কারণে এলসির দায় কমেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সংবাদ প্রকাশের পরও গুরুত্ব দেয়নি এলজিইডি, ব্রীজের এ্যাপ্রোচ এখন নদীতে

২০ সরকারি প্রতিষ্ঠানের এলসি দায় ১১ বিলিয়ন

আপডেট টাইম : ১২:০১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশে ডলার-সংকট ক্রমান্বয়ে কমছে—কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমনটা দাবি করলেও বাস্তবে তা দৃশ্যমান নয়। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আমদানির জন্য খোলা ঋণপত্রের (এলসি) বিল পরিশোধের মতো প্রয়োজনীয় ডলার নেই ব্যাংকগুলোর কাছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারি শীর্ষস্থানীয় ২০ প্রতিষ্ঠানের এলসি মেয়াদোত্তীর্ণ আমদানি বিলের দায় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৬ কোটি (১১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন) ডলার। আর বেসরকারি খাতের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের দায় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০ মিলিয়ন বা ৭ কোটি ডলার। ৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার দায় নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এলসির দায় ৫২ কোটি ডলার। বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) ৪৪ কোটি ডলার। ডিরেক্টর জেনারেল ডিফেন্স পারচেজের (ডিজিডিপি) প্রায় ৩৪ কোটি ডলার। নৌবাহিনীর ২৯ কোটি ডলার।

সূত্র জানায়, বিগত সরকারের আমলের দায়গুলোই এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে দায়ের ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা দরকার। তা না হলে বাড়তি সুদ দিতে হবে; পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো বকেয়ার জন্য বাড়তি অর্থ চার্জ করবে।

আর একেবারে বেশি বিলম্ব হলে একটা পর্যায়ে বাংলাদেশের এলসি খোলার জন্য বিমুখ হবে বিদেশি অনেক ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, চলতি অর্থবছরে ১০ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১২ বিলিয়ন ডলার। তবে এ সময় আমদানির পরিমাণ কমেনি; বরং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটরিংয়ের কারণে এলসির দায় কমেছে।