সৌদি আরব, রাশিয়া ও মরক্কো থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার, ৩০ হাজার টন এমওপি সার, ৪০ হাজার টন ডিএপি সার এবং ৩০ হাজার টন টিএসপি সার রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৬০ কোটি ৭৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের কৃষি পুষ্টি কোম্পানি (সাবিক) থেকে ১২তম লটের ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৩ কোটি ২৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৪২.৩৩ মার্কিন ডলার।
এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন প্রডিন্টরগ ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৫ম লটে ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক কর্পোরেশন প্রডিন্টরগের কাছ থেকে ১০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকায় এ সার কেনা হবে। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ২৮৯ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ১ম লটের ৪০ হাজার সেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপসের কাছ থেকে এ সার কিনতে ব্যয় হবে ২৮০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৫৮৪ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ১১তম (ঐচ্ছিক-১ম) লটের ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপসের কাছ থেকে এ সার কিনতে ব্যয় হবে ১৫২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৪২৩ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।