বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কারোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এ কথা জানান তাঁর হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান।
খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। যেহেতু আমাদের নিশ্চিতভাবে সবচেয়ে বড় সম্পদ প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়। উনার যে আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা, সেটাকে ব্যবহার করে আমরা যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করব।’
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ আকস্মিক নয় বলে জানিয়েছেন খলিলুর রহমান। এ বিষয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে কাজ শুরু করা হয়েছে জানিয়ে খলিলুর রহমান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ব্যাপারটি আকস্মিক নয়, এর জন্য আমরা প্রস্তুত। মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগির কিছু ব্যবস্থা নেব। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টা নিজেই যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে সংযুক্ত হবেন বলে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের করণীয়গুলো বোঝার চেষ্টা করছি। আমরা এখানে সম্ভাবনাও দেখছি। বিপরীত বিষয়গুলো উপলব্ধি করে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে এনে তুলনামূলকভাবে আমাদের প্রতিযোগী দেশ থেকে ভালো অবস্থানে যাওয়ার প্রচেষ্টায় রত আছি।’
দুই পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে কীভাবে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে সেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো যেতে পারে। আমরা সয়াবিন তেল, পোশাকশিল্পের জন্য তুলা, মেটাল স্ক্র্যাপ আমদানি করি যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এ ছাড়া শিল্প যন্ত্রাংশ, জ্বালানি পণ্য আমদানি করি। জ্বালানি পণ্য আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করি। সামষ্টিকভাবে আমাদের অর্থনীতির জন্য যা ভালো, সেগুলো সমন্বয় করে আমদানি করব।’