ঢাকা ১১:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এলাকায় সালিশ করতে গিয়ে মৃত্যুর মুখে বিএনপি নেতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৮ বার

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশালঃ ঝগড়া মীমাংসা করার জন্য এলাকায় সালিশ করতে গিয়ে বিএনপি নেতা মৃত্যুর মুখে। গত শনিবার ৫ এপ্রিল বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়ন এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার বিএনপির নেতার আলমগীর পারভেজ রত্নপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক। বিএনপির চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহির উদ্দিন সপনের অনুসারী, বতমানে তিনি বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমুষঅবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। তার ব্রেনে প্রচন্ড আঘাত পাওয়ার কারণে সে এখন ভারসাম্যহীন অবস্থায় আছেন ।

আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হাফিজ শিকদার,যুগ্ন আহবায়ক আবুল মোল্লা,রত্নপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মো, মিঠু, ইউনিয়ন বি এন পির যুগ্ন আহবায়ক ইসমাইল, ছাত্রদল নেতা মামুন ঘোড়ামী,ওয়াড বিএনপির সভাপতি বাবুল বলেন,বহু দিন যাবত কবির শরীফ ও আবু বকর এর মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে। ওই জমিজমা ঝামেলা মিটানোর জন্যই আলমগীর পারভেজ গিয়েছিল সালিশের মধ্যে দিয়ে শেষ করতে। মীমাংসা শেষ হতে না হতেই পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায় আবুবকরের পক্ষে সন্ত্রাসী নাসির, রিয়াজ,পলাশ, হেমায়েত,সহ ১৫,২০ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপ, আর এই পুরো ঘটনার নেতৃত্ব দেন বিএনপি নেতা আকন কুদ্দুসের বাসার কাজের ছেলে আবুল বশর। আকন কুদ্দুসের খমতা কাজে লাগিয়ে এমন কোন অপকর্ম নাই যে এই বশর করেনা। বশর নিজেকে কুদ্দুস রহমানের পিএস, বলে দাবী করেন । কুদ্দুস রহমানকে রাজনীতি থেকে  ডুবানোর জন্য একজন বশর ই যথেষ্ট।

উক্ত হামলায় কবির শরীফ ও তার স্ত্রী আগৈলঝাড়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি আছেন। মামলা এফ আই আর হওয়ার পর ও অদৃস্ট শক্তির কারণে এখনও কোন আসামি গ্রেফতার হচ্ছেনা। জখমকারী কবির শরিফ ও তার স্ত্রীকে কেন সাহায্য করলো,কেন আলমগীর পারভেজ হাস্পাতালে নিয়ে গেল এই অপরাধে পরের দিন তাকে ডেকে এনে এলাকার চাউকাঠি বাজারে বশরের নেতৃত্বে ২০,২৫ জন আওয়ামী সন্ত্রাসী সহ মিলে দেশি হাতুড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আলমগীর পারভেজ এর উপর হামলা চালায়।

পাশাপাশি তামিল মুভি স্টাইলে বশর, নাসির, নিজেদের ঘর নিজেরা কুপিয়ে ভেঙ্গে বলতে ছিল আলমগীর পারভেজ আমাদের ঘর কোপাতে আসাতে আমরা প্রতিহত করেছি,আগৈলঝাড়া থানায় কবির শরীফের মামলা রেকর্ড হওয়ার পরেও কোন শক্তির কারণে আসামি গ্রেফতার হচ্ছে না।

পাশাপাশি আকন কুদ্দুসু রহমানের প্রত্যক্ষ ভুমিকার কারণে আলমগীর পারভেজ এর মামলা রেকর্ড হচ্ছে না। আলমগীর পারভেজ এর বৌ প্রশ্ন আমার স্বামী ২৮ বছর বিএনপির রাজনীতি করে এই প্রতিদানও পেলাম না ?বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এলাকায় সালিশ করতে গিয়ে মৃত্যুর মুখে বিএনপি নেতা

আপডেট টাইম : ১২:০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশালঃ ঝগড়া মীমাংসা করার জন্য এলাকায় সালিশ করতে গিয়ে বিএনপি নেতা মৃত্যুর মুখে। গত শনিবার ৫ এপ্রিল বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়ন এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার বিএনপির নেতার আলমগীর পারভেজ রত্নপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক। বিএনপির চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহির উদ্দিন সপনের অনুসারী, বতমানে তিনি বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমুষঅবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। তার ব্রেনে প্রচন্ড আঘাত পাওয়ার কারণে সে এখন ভারসাম্যহীন অবস্থায় আছেন ।

আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হাফিজ শিকদার,যুগ্ন আহবায়ক আবুল মোল্লা,রত্নপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মো, মিঠু, ইউনিয়ন বি এন পির যুগ্ন আহবায়ক ইসমাইল, ছাত্রদল নেতা মামুন ঘোড়ামী,ওয়াড বিএনপির সভাপতি বাবুল বলেন,বহু দিন যাবত কবির শরীফ ও আবু বকর এর মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে। ওই জমিজমা ঝামেলা মিটানোর জন্যই আলমগীর পারভেজ গিয়েছিল সালিশের মধ্যে দিয়ে শেষ করতে। মীমাংসা শেষ হতে না হতেই পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায় আবুবকরের পক্ষে সন্ত্রাসী নাসির, রিয়াজ,পলাশ, হেমায়েত,সহ ১৫,২০ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপ, আর এই পুরো ঘটনার নেতৃত্ব দেন বিএনপি নেতা আকন কুদ্দুসের বাসার কাজের ছেলে আবুল বশর। আকন কুদ্দুসের খমতা কাজে লাগিয়ে এমন কোন অপকর্ম নাই যে এই বশর করেনা। বশর নিজেকে কুদ্দুস রহমানের পিএস, বলে দাবী করেন । কুদ্দুস রহমানকে রাজনীতি থেকে  ডুবানোর জন্য একজন বশর ই যথেষ্ট।

উক্ত হামলায় কবির শরীফ ও তার স্ত্রী আগৈলঝাড়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি আছেন। মামলা এফ আই আর হওয়ার পর ও অদৃস্ট শক্তির কারণে এখনও কোন আসামি গ্রেফতার হচ্ছেনা। জখমকারী কবির শরিফ ও তার স্ত্রীকে কেন সাহায্য করলো,কেন আলমগীর পারভেজ হাস্পাতালে নিয়ে গেল এই অপরাধে পরের দিন তাকে ডেকে এনে এলাকার চাউকাঠি বাজারে বশরের নেতৃত্বে ২০,২৫ জন আওয়ামী সন্ত্রাসী সহ মিলে দেশি হাতুড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আলমগীর পারভেজ এর উপর হামলা চালায়।

পাশাপাশি তামিল মুভি স্টাইলে বশর, নাসির, নিজেদের ঘর নিজেরা কুপিয়ে ভেঙ্গে বলতে ছিল আলমগীর পারভেজ আমাদের ঘর কোপাতে আসাতে আমরা প্রতিহত করেছি,আগৈলঝাড়া থানায় কবির শরীফের মামলা রেকর্ড হওয়ার পরেও কোন শক্তির কারণে আসামি গ্রেফতার হচ্ছে না।

পাশাপাশি আকন কুদ্দুসু রহমানের প্রত্যক্ষ ভুমিকার কারণে আলমগীর পারভেজ এর মামলা রেকর্ড হচ্ছে না। আলমগীর পারভেজ এর বৌ প্রশ্ন আমার স্বামী ২৮ বছর বিএনপির রাজনীতি করে এই প্রতিদানও পেলাম না ?বিষয়টি সঠিক তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।