চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সন্তানকে খাবার খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে নায়িকার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার থানায় একটি অভিযোগও করেছেন। ঘটনার পর গতকাল দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন পরীমণি।
২১ মিনিট ৬ সেকেন্ডের দীর্ঘ এই ফেসবুক লাইভে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আইনিভাবে মোকাবিলার কথা জানান ঢাকাই সিনেমার এই নায়িকা।
তবে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় গণমাধ্যমের ওপর রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন পরীমণি। দাবি করেন, সবটাই একতরফা; এবং তিনি একপাক্ষিক বিচারের শিকার।
পরীমণি বলেন, ‘আমি এ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য একদম প্রস্তত ছিলাম না। এত মিডিয়া ট্রায়াল (একপাক্ষিক সংবাদ) বন্ধ করে দেন। জনগণ কিন্তু আস্ত একটি মিডিয়া, যদি সে সঠিক হয়, সত্যি হয়। এসব স্ট্যাম্পমারা মিডিয়ার দরকার হয় না। এগুলো করবেন না, এগুলো সুন্দর দেখায় না। আপনারা হবেন সাপোর্টিভ, এগুলো কি করেন আপনারা!’
পরীমণি বলেন, ‘একতরফা করবেন না, করলে সবদিক থেকেই করবেন। প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করেন, আমার বাসার নিচে আসতে হবে না। আমি নিজেই আপনাদের কাছে যাব। আমি আপনাদের কয়বার নক দিয়েছি, ওই মেয়ে যে আপনাদের নক দিয়েছে? আপনাদের নাম্বার ও কীভাবে পেল? নাকি আপনাদেরই গরজ। নাকি হাতে এস লেখা বলে আপনাদের বলদ ফলদ বলেছিলাম বলে আপনাদের গায়ে লাগল? তো বলদের প্রমাণ দিয়ে দিচ্ছেন?’
পরে খুবই খারাপ বাক্য ব্যবহার করে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের গালি দেন এই নায়িকা।
বেশ খানিকটা উত্তেজিত হয়ে বেশ কিছু অকথ্য ভাষায় কথায় বলেন পরীমণি; যা প্রকাশের অযোগ্য। পরীমণি বলেন, ‘আপনারা আইন, সংসার, জীবন-সবকিছুর ঊর্ধ্বে যেতে চান।’
হুমকির সুরে পরীমণি বলেন, ‘হিসাব কিন্তু একদিন আপনাদের দিতেই হবে। মিলিয়ে নিয়েন।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে ভাটারা থানায় এ ঘটনার তদন্ত চলমান। উভয় পক্ষের বক্তব্যে ব্যাপক ব্যবধান দেখা যাচ্ছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। আইনজীবীরা বলছেন, প্রমাণ ভিত্তিক সিদ্ধান্তই এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে।