দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকা থেকে ইসরায়েলি ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
এক বিবৃতিতে সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, নিহতেরা হলেন ইয়াগেভ বুচশতাব, আলেকজান্ডার ড্যান্সিগ, আব্রাহাম মুন্ডার, ইওরাম মেটজগার, নাদাভ পপলওয়েল এবং চেইম পেরি। বিষয়টি তাদের পরিবারকে জানানো হয়েছে।
হোস্টেজ ফ্যামিলি ফোরাম নামের একটি সংগঠন, যেটি বেশিরভাগ জিম্মি পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করে, খবরটি নিশ্চিত করেছে। তবে হামাসের সঙ্গে জিম্মি মুক্তির চুক্তি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
হোস্টেজ ফ্যামিলি ফোরাম এক বিবৃতিতে জানায়, বাকী ১০৯ জিম্মিকে অবিলম্বে প্রত্যাবর্তন করার ব্যবস্থা করতে হবে। মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায় ইসরায়েলি সরকারকে খুব দ্রুত আলোচনার টেবিলে বসা উচিত।
প্রসঙ্গত, গতবছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হন ১ হাজার ২০০ জন। পাশাপাশি ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।
এরমধ্যে গত বছরের নভেম্বরে কাতারের মধ্যস্থতায় প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২৪০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ৭১ জন মহিলা এবং ১৬৯টি শিশু ছিলেন। বিনিময়ে ২৪ বিদেশিসহ মোট ১০৫ জনকে মুক্তি দেয় হামাস।
ইসরায়েলের দাবি হামাসের কাছে এখনো প্রায় ১০৯ জন জিম্মি আটক রয়েছে। তবে এটা এখনো পরিষ্কার নয় যে বাকী জিম্মিদের কতজন এখনো জীবিত রয়েছে।