ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলকাতার চিকিৎসককে শ্বাসরোধে হত্যা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৮:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
  • ২৭ বার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের বাইরে ও ভেতরে একাধিক ক্ষতচিহ্নও পাওয়া গেছে। এমন তথ্যই উঠে এসেছে নিহতের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। সোমবার ওই চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

৯ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট থেকে ৭টা ১০ মিনিটের মধ্যে আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার পর ময়নাতদন্ত করা হয়। আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকেরাই এ ময়নাতদন্ত করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, নারী চিকিৎসকের নাক ও মুখ বন্ধ করে শ্বাসরোধ করার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বাইরে ১৬টি ও ভেতর ৯টি ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

এছাড়াও যৌন নির্যাতনেরও আলামত পাওয়া গেছে। হত্যার ধরনটি নরহত্যার পর্যায়ে পড়ে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তার গাল, ঠোঁট, নাক, ঘাড়, বাহু, হাঁটু ও যৌনাঙ্গে বাহ্যিক ক্ষত পাওয়া গেছে। ঘাড়, মাথার ত্বক ও অন্যান্য অংশের পেশিতে অভ্যন্তরীণ ক্ষত পাওয়া গেছে। মৃত্যুর আগে তাকে সীমাহীন আঘাত দিয়ে মারা হয়েছে বলে জানা গেছে। চিকিৎসকদের ধারণা, সম্ভবত তাকে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছিল। হত্যার ধরনটি নরহত্যার পর্যায়ে পড়ে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন আরজি কর হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস। একই হাসপাতালের একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রিনা দাস এবং এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মলি ব্যানার্জি।

কলকাতায় নারী চিকিৎসকের হত্যাকে পাশবিক অত্যাচার বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। মঙ্গলবার চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি বেঞ্চে। এদিনের শুনানিপর্বে একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সর্বোচ্চ আদালত। ২২ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। উল্লেখ্য, ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। পরের দিন ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় কলকাতার পাশাপাশি ভারতজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কলকাতার চিকিৎসককে শ্বাসরোধে হত্যা

আপডেট টাইম : ১০:৪৮:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের বাইরে ও ভেতরে একাধিক ক্ষতচিহ্নও পাওয়া গেছে। এমন তথ্যই উঠে এসেছে নিহতের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। সোমবার ওই চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

৯ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট থেকে ৭টা ১০ মিনিটের মধ্যে আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার পর ময়নাতদন্ত করা হয়। আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকেরাই এ ময়নাতদন্ত করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, নারী চিকিৎসকের নাক ও মুখ বন্ধ করে শ্বাসরোধ করার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের বাইরে ১৬টি ও ভেতর ৯টি ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

এছাড়াও যৌন নির্যাতনেরও আলামত পাওয়া গেছে। হত্যার ধরনটি নরহত্যার পর্যায়ে পড়ে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তার গাল, ঠোঁট, নাক, ঘাড়, বাহু, হাঁটু ও যৌনাঙ্গে বাহ্যিক ক্ষত পাওয়া গেছে। ঘাড়, মাথার ত্বক ও অন্যান্য অংশের পেশিতে অভ্যন্তরীণ ক্ষত পাওয়া গেছে। মৃত্যুর আগে তাকে সীমাহীন আঘাত দিয়ে মারা হয়েছে বলে জানা গেছে। চিকিৎসকদের ধারণা, সম্ভবত তাকে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছিল। হত্যার ধরনটি নরহত্যার পর্যায়ে পড়ে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন আরজি কর হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস। একই হাসপাতালের একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রিনা দাস এবং এনআরএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মলি ব্যানার্জি।

কলকাতায় নারী চিকিৎসকের হত্যাকে পাশবিক অত্যাচার বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। মঙ্গলবার চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি বেঞ্চে। এদিনের শুনানিপর্বে একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সর্বোচ্চ আদালত। ২২ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। উল্লেখ্য, ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। পরের দিন ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় কলকাতার পাশাপাশি ভারতজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।