ঢাকা ০২:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার গণমাধ্যমের পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মতামত জরিপ জানুয়ারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আসামি রিমান্ডে বিয়ের আগে পরস্পরকে যে প্রশ্নগুলো করা জরুরি

হাজারীবাগে ব্যবসায়ী হত্যা, জমির লোভে ২০ লাখে খুনি ভাড়া

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫৬:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩
  • ১৪৯ বার

রাজধানীর হাজারীবাগে ব্যবসায়ী এখলাসকে হত্যা করে বস্তায় ভরে ফেলে রাখার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ২০ লাখ টাকায় ভাড়া করা হয় দুই খুনিকে, হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হয় ১১ লাখ টাকা।

শনিবার (২২ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গেলো ২৮ জুন রাজধানীর রায়ের বাজারে ডেকে নিয়ে গলায় তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় জমি ব্যবসায়ী এখলাসকে।

হত্যা করে মরদেহ বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হয় হাজারীবাগ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশে।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরেই এখলাসকে হত্যার পরিকল্পনা করেন লেদার মনির। এ জন্য ২০ লাখ টাকায় ভাড়া করা হয় দুই কিলার রহমান ও ফয়সালকে। হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন করার জন্য দেয়া হয় নগদ ১১ লাখ টাকা।

হারুন অর রশীদ বলেন, ২০ লাখ টাকা মনিরের পিএস ঝন্টু মোল্লা দেন সমন্বয়কারী এসহাককে। পরে এসহাক সেটা বাস্তবায়ন করার কথা। পরবর্তী পর্যায়ে ২০ লাখের মধ্যে ১১ লাখ টাকা দিয়ে তারা দুই খুনিকে ভাড়া করেন। আব্দুর রহমানকে দেওয়া হয় ৬ লাখ, আর ফয়সালকে দেয়া হয় ৫০ হাজার টাকা।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী লেদার মনির এক সময় চামড়া পরিষ্কারের কাজ করলেও কয়েক বছরের মধ্যেই বনে যান হাজার কোটি টাকার মালিক। কেরানীগঞ্জের একটি জমির দ্বৈত মালিকানা থেকেই তার ব্যাবসায়ীক অংশীদার এখলাসের সঙ্গে বিরোধ হয়। আর সেই বিরোধ থেকেই হত্যার পরিকল্পনা।

ডিবি প্রধান বলেন, লেদার মনির এক সময় ঢাকায় ২০ টাকা রোজে চামড়া পরিষ্কার করতেন। কামরাঙ্গীরচরে একটা জমি রয়েছে। এটার মালিকানা কিছুটা রয়েছে মনিরের, আর কিছুটা রয়েছে ভিকটিম এখলাসের। মনির চেয়েছিলেন পুরো জায়গাটাকে একা গ্রাস করতে।

এদিকে রাজধানীর মালিবাগে যুবলীগকর্মী হত্যা মামলায় আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ‘যাদের নাম আমরা পেয়েছি, তাদের শিগগিরই গ্রেফতার করবো। ’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে মদনে আবারও বিক্ষোভ মিছিল

হাজারীবাগে ব্যবসায়ী হত্যা, জমির লোভে ২০ লাখে খুনি ভাড়া

আপডেট টাইম : ১২:৫৬:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩

রাজধানীর হাজারীবাগে ব্যবসায়ী এখলাসকে হত্যা করে বস্তায় ভরে ফেলে রাখার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ২০ লাখ টাকায় ভাড়া করা হয় দুই খুনিকে, হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হয় ১১ লাখ টাকা।

শনিবার (২২ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গেলো ২৮ জুন রাজধানীর রায়ের বাজারে ডেকে নিয়ে গলায় তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় জমি ব্যবসায়ী এখলাসকে।

হত্যা করে মরদেহ বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হয় হাজারীবাগ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশে।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরেই এখলাসকে হত্যার পরিকল্পনা করেন লেদার মনির। এ জন্য ২০ লাখ টাকায় ভাড়া করা হয় দুই কিলার রহমান ও ফয়সালকে। হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন করার জন্য দেয়া হয় নগদ ১১ লাখ টাকা।

হারুন অর রশীদ বলেন, ২০ লাখ টাকা মনিরের পিএস ঝন্টু মোল্লা দেন সমন্বয়কারী এসহাককে। পরে এসহাক সেটা বাস্তবায়ন করার কথা। পরবর্তী পর্যায়ে ২০ লাখের মধ্যে ১১ লাখ টাকা দিয়ে তারা দুই খুনিকে ভাড়া করেন। আব্দুর রহমানকে দেওয়া হয় ৬ লাখ, আর ফয়সালকে দেয়া হয় ৫০ হাজার টাকা।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী লেদার মনির এক সময় চামড়া পরিষ্কারের কাজ করলেও কয়েক বছরের মধ্যেই বনে যান হাজার কোটি টাকার মালিক। কেরানীগঞ্জের একটি জমির দ্বৈত মালিকানা থেকেই তার ব্যাবসায়ীক অংশীদার এখলাসের সঙ্গে বিরোধ হয়। আর সেই বিরোধ থেকেই হত্যার পরিকল্পনা।

ডিবি প্রধান বলেন, লেদার মনির এক সময় ঢাকায় ২০ টাকা রোজে চামড়া পরিষ্কার করতেন। কামরাঙ্গীরচরে একটা জমি রয়েছে। এটার মালিকানা কিছুটা রয়েছে মনিরের, আর কিছুটা রয়েছে ভিকটিম এখলাসের। মনির চেয়েছিলেন পুরো জায়গাটাকে একা গ্রাস করতে।

এদিকে রাজধানীর মালিবাগে যুবলীগকর্মী হত্যা মামলায় আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ‘যাদের নাম আমরা পেয়েছি, তাদের শিগগিরই গ্রেফতার করবো। ’