কিডনি বিশেষজ্ঞরা জানান, কামরাঙায় থাকা প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট ও নিউরো টক্সিন কিডনির জন্য ডেকে আনছে বিপদ। এমনকি মৃত্যুও।
তারা বলছেন, বিশেষ করে যাদের পরিবারে কিডনি রোগের ইতিহাস, তাদের জন্য এই ফল খেলে বিপদ হতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপেও কামরাঙা বিপজ্জনক।
‘কিডনি কেয়ার সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা ডা. প্রতিম সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, গ্রামবাংলায় এই ফলটির জনপ্রিয়তা বেশ তুঙ্গে। এই ফল হালকা নুন দিয়ে মেখে খাওয়া হয়। কিডনির সমস্যা না থাকলে একটু-আধটু খাওয়া যেতেই পারে এ ফল।
তিনি আরও বলেন, তবে যাদের সমস্যা আছে, তারা এই ফল না খেলেই ভালো। কাঁচা বা টক কামরাঙার রস বেশি ক্ষতিকর। মিষ্টি কামরাঙা তেমন ক্ষতিকর নয়। তবে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অতিরিক্ত স্থূলকায় ভুগছেন এবং কিডনির রোগের ঝুঁকিতে আছেন অথবা যাদের কিডনিজনিত রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, তাদের কামরাঙা না খাওয়াই ভালো।
গবেষণায় দেখা গেছে, ১০০ মিলিলিটার কামরাঙার জুসে ০.৫০ গ্রাম অক্সিলিক অ্যাসিড রয়েছে। কামরাঙার মধ্যে নিউরো টক্সিনও রয়েছে। যাদের কিডনি দুর্বল বা অকার্যকর তাদের এই মারাত্মক নিউরো টক্সিনকে বের করে দিতে পারে না। তখন এটি ব্রেন ও নার্ভাস সিস্টেমের ওপর মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ফলে মাথা ঘোরা, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, খিচুনি হওয়া, অজ্ঞান হয়ে পড়া- এমনকি কোমাতে চলে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
গবেষণা থেকে আরও জানা গেছে, যাদের ডায়ালাইসিস চলছে বা কিডনিতে পাথর রয়েছে, তারা কামরাঙা গ্রহণ করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। গর্ভবতী মায়েদেরও কামরাঙা এড়িয়ে চলা উচিত। খেলে গর্ভজাত শিশুর ক্ষতি হতে পারে।