ফেসবুক লাইভে এসে নিজের সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট পোড়ানো মুক্তা সুলতানাকে চাকরি দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকা।
নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে আরিফা জেসমিন কনিকা এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, এক শ্রেণির মানুষ যারা নিজের যোগ্যতায় সফল হওয়ার সম্ভবনা কম, তারা সফল হওয়ার জন্য ইদানিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করে ভাইরাল হওয়ার পথ বেছে নিয়েছে। নিজের বিবেক, বুদ্ধি, বিবেচনা, মানবিকতা, বিসর্জন দিয়ে, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের সম্মান সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভাইরাল হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আমাদের দেশের কিছু মানুষ আবার এদের এই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় তাদের পাশে দাড়াচ্ছে এবং তাদেরকে সাপোর্ট দিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করছে। সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষের নিজ যোগ্যতায় সফল হওয়া দিনে দিনে কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে। পরোক্ষভাবে আমরা বিবেক, বুদ্ধি বিবর্জিত একটা অসুস্থ এবং মানসিক বিকারগ্রস্ত জাতি গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যা খুবই দুঃখজনক!
এর আগে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে ২৭ বছরের অর্জিত সব একাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন মুক্তা। বিষয়টি নজরে এলে তাকে দপ্তরে আসতে বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তার সঙ্গে আলোচনার পর প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রজেক্টে ‘কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন অফিসার’ পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন।
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘দেশের মেধাবী তরুণ-তরুণীরা যেন হতাশাগ্রস্ত না হয় এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যেতে পারে, সেজন্য আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা দিচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরির বয়স শেষ হওয়ায় নিজের অর্জিত সব অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেছেন রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রী মুক্তা সুলতানা। ফেসবুকে লাইভে এসে তিনি সার্টিফিকেটগুলো পুড়িয়ে দেন। এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।