রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বহুবিস্তৃত এক বিরল প্রতিভা। খেলাধুলায় পারদর্শিতার পাশাপাশি তার সাংগঠনিক দক্ষতাও ছিল প্রশংসনীয়। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন।
‘শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমস ২০২৩’ উপলক্ষে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ব্যবস্থাপনায় দেশের সর্ববৃহৎ ক্রীড়াযজ্ঞ ‘শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমস ২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, পৃষ্ঠপোষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
তিনি বলেন, শরীর গঠনের সঙ্গে সঙ্গে মন ও মননের বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। সমাজ উন্নয়ন, জাতিগঠন ও বিশ্ব সভ্যতার বিকাশেও ক্রীড়াচর্চা একটি অপরিহার্য উপাদান। শেখ কামালের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও খেলাধুলার উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এবং বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশে খেলাধুলার প্রসার ও মানোন্নয়ন এবং তৃণমূল থেকে উদীয়মান তরুণ ক্রীড়াবিদদের খুঁজে আনতে শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমস কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।
ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের অর্জিত সাফল্য অব্যাহত রাখতে সরকারের পাশাপাশি ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তি ও সংগঠনকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতীয় পর্যায়ের তরুণ ক্রীড়াবিদদের প্রতিভা বিকাশ ও উৎকর্ষ প্রদর্শনের জন্য শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমস একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। গেমসে অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদরা তাদের সর্বোত্তম নৈপূণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতাকে আরও শাণিত করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের জন্য সুনাম ও গৌরব বয়ে আনতে সক্ষম হবে- এটাই সবার প্রত্যাশা। আমি ‘শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমস ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।