হাওর বার্তা ডেস্কঃ কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপের কর্মযজ্ঞ ও অবকাঠামো উন্নয়ন বাস্তবায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রেই জড়িয়ে রয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদান। এবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ফুটবল আসরে খেলোয়াড়দের চিকিৎসা সেবা দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন বাংলাদেশি নারী ডাক্তার আয়শা পারভিন। ফেলোর মেডিকেল টিমের দায়িত্বে থাকার কথা রয়েছে তার। এর আগে কাতারের দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ ফিফা আরব কাপে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
আরব কাপের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপে দায়িত্ব পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা এ বাংলাদেশি চিকিৎসক বলেন, প্রতিটি ফুটবল কাপে সাধারণত পুরুষ চিকিৎসক থাকে। কিন্তু ফিফার নতুন নিয়ম অনুযায়ী পুরুষের পাশাপাশি মহিলা চিকিৎসকও রাখার নিয়ম করা হয়েছে। এ অনুযায়ী আরব কাপে কাতারে ছয় স্টেডিয়ামে একজন করে নারী চিকিৎসক রাখা হয়। যার মধ্যে স্টেডিয়াম ৯৭৪’র দায়িত্বে ছিলাম আমি। তাই আশা করছি বিশ্বকাপেও এই স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকতে পারবো।
পেশাদারিত্বের কাছে হার মেনেছে আবেগ। ২০২১ সালে তারকা ফুটবলারদের খেলা দেখেছেন একেবারে কাছ থেকে। দিয়েছেন চিকিৎসা সেবাও। কিন্তু প্রতিটি ম্যাচে পেশাদারিত্বের দিকে বেশি নজর দিয়েছেন তিনি। ফুটবলারদের সুস্থতা নিশ্চিতে আয়শা পারভিন বলেন, ফিজিশিয়ানের দায়িত্ব পালনের কারণে অনেক বিখ্যাত ফুটবলারদের খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। কিন্তু নিজের আবেগকে দমিয়ে রেখে পেশাদারিত্বকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। কারণ ফুটবলারদের সুস্থতা নিশ্চিত করাই আমার প্রধান দায়িত্ব। সবসময় তা করার চেষ্ঠা করেছি।
আরব কাপে ৯৭৪ স্টেডিয়ামের মেডিকেল টিমের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন আয়শা পারভিন। বিশ্বকাপের জন্য এখনো চূড়ান্ত ডাক না পেলেও প্রশিক্ষণ বা নানা কার্যক্রমে আশা করা যায় সেই একই ভেন্যুতে থাকছেন আয়শা পারভিন।
চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে কাতার গিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন আয়শা। এখন সেখানেই চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন তিনি। এমন পেশায় জড়িত থাকায় গর্ব করছেন তার পরিবার, দূতাবাস ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
তিনি বলেন, কাতারে শুধুমাত্র শ্রমিকরাই আসেন এমন ধারণা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। কারণ কাতারের শুধু শ্রমিক নয়, এর বাইরেও অনেক উচ্চরত পর্যায় কাজ করছে বাংলাদেশিরা। আমি আমার কাজের মাধ্যমে এ ভুল ধারণা ভাঙ্গার চেষ্টা করছি।
কাতারের বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দিন বলেন, কাতারের ফুটবল বিশ্বকাপের প্রতিটি স্তরের জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশিরা। আয়শা পারভিন এ ধরনের বড় আয়োজনে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে শুনে আমি অনেক আনন্দিত।