ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

সাংবাদিক পালকি শর্মার প্রতিবেদন মিথ্যা: প্রেস উইং

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৮:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫ বার

ইউটিউব চ্যানেল ফার্স্টপোস্ট ও বিডিডিগেস্ট নামে একটি নিউজ পোর্টালে ভারতীয় সাংবাদিক পালকি শর্মার প্রযোজনায় স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনিকে নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

সম্প্রতি ভারতীয় সাংবাদিক পালকি শর্মা ওই দুই সংবাদ মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে জড়িয়ে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের একজন প্রতিষ্ঠাতা। প্রমাণ হিসেবে, পালকি শর্মা ও বিডিডিগেস্ট একটি নিউজ পোর্টালের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়েছেন, যা ২০০৮ সালে দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত হয়েছিল।

অথচ ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা নাসিমুল গনি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি দুজন ভিন্ন ব্যক্তি। হিযবুত তাহরীর নেতা নাসিমুল গনি একজন ব্রিটিশ নাগরিক।

অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বাংলাদেশের একজন শীর্ষ আমলা। তিনি একজন বাংলাদেশি নাগরিক, তাঁর কোনো দ্বৈত নাগরিকত্ব নেই, তিনি অন্য কোনো দেশে বসবাসও করেন না।

সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৮৩ সালে দেশের সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে যখন তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের তৎকালীন স্পিকারের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন, তখন তিনি বেশ কয়েকবার ব্রিটেন ভ্রমণ করেন।

২০০৮ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাডফোর্ড থেকে টপ ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ৪৫ দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

প্রেস উইং বলেছে, হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশে একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। কোনো সরকারি কর্মকর্তার নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনে যোগ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। নাসিমুল গনি ছাত্রাবস্থায়ও কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন না।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বাংলাদেশ পুলিশ হিযবুত তাহরীরের বেশ কয়েকজন সদস্যকে অবৈধ কার্যকলাপের জন্য গ্রেফতার করেছে। সংগঠনটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। আমরা মনে করি, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে যে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে তার অংশ হিসেবেই এই মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে একসাথে সাকিব-তামিম

সাংবাদিক পালকি শর্মার প্রতিবেদন মিথ্যা: প্রেস উইং

আপডেট টাইম : ১০:৫৮:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

ইউটিউব চ্যানেল ফার্স্টপোস্ট ও বিডিডিগেস্ট নামে একটি নিউজ পোর্টালে ভারতীয় সাংবাদিক পালকি শর্মার প্রযোজনায় স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনিকে নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

সম্প্রতি ভারতীয় সাংবাদিক পালকি শর্মা ওই দুই সংবাদ মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে জড়িয়ে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের একজন প্রতিষ্ঠাতা। প্রমাণ হিসেবে, পালকি শর্মা ও বিডিডিগেস্ট একটি নিউজ পোর্টালের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়েছেন, যা ২০০৮ সালে দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত হয়েছিল।

অথচ ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা নাসিমুল গনি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি দুজন ভিন্ন ব্যক্তি। হিযবুত তাহরীর নেতা নাসিমুল গনি একজন ব্রিটিশ নাগরিক।

অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বাংলাদেশের একজন শীর্ষ আমলা। তিনি একজন বাংলাদেশি নাগরিক, তাঁর কোনো দ্বৈত নাগরিকত্ব নেই, তিনি অন্য কোনো দেশে বসবাসও করেন না।

সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৮৩ সালে দেশের সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে যখন তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের তৎকালীন স্পিকারের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন, তখন তিনি বেশ কয়েকবার ব্রিটেন ভ্রমণ করেন।

২০০৮ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাডফোর্ড থেকে টপ ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ৪৫ দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

প্রেস উইং বলেছে, হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশে একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। কোনো সরকারি কর্মকর্তার নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনে যোগ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। নাসিমুল গনি ছাত্রাবস্থায়ও কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন না।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বাংলাদেশ পুলিশ হিযবুত তাহরীরের বেশ কয়েকজন সদস্যকে অবৈধ কার্যকলাপের জন্য গ্রেফতার করেছে। সংগঠনটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। আমরা মনে করি, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে যে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে তার অংশ হিসেবেই এই মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।’