মানবসম্পদ উন্নয়নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাপানের সহযোগিতা চাইলেন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশিদের বৃত্তি প্রদান ও দক্ষতা উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশে আঞ্চলিক অভিযোজন কেন্দ্রের (জিসিএ) জন্য দেশটির সহযোগিতা চান। আজ সোমবার (১১ এপ্রিল) জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন ড. মোমেন। এ সময় তিনি জাপানের সহযোগিতা চান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হায়াশি জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন। মূলত ঢাকা-টোকিওর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রায় ঘণ্টাখানেকের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিনিয়োগ, ইউক্রেনের চলমান পরিস্থিতি, ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যু, রোহিঙ্গা সমস্যা, জলবায়ু ইস্যু, মানবসম্পদ উন্নয়ন, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, ব্লু-ইকোনোমিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন মোমেন-হায়াশি।

ড. মোমেন জাপানকে একটি পরিবার এবং বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগ চান। বিশেষ করে তিনি ব্লু-ইকোনোমি, অটোমোবাইলস, আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্সসের মতো খাতগুলোতে সহযোগিতায় জাপানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ব্লু-ইকোনোমি, আইসিটি এবং ফার্মাসিউটিক্যালসসহ আরও কিছু খাতে সহযোগিতা করতে সম্মত হন। ড. মোমেনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে হায়াশি মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশকে বৃত্তি ও দক্ষতা উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।

বৈঠকে দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মোমেন জাপানের আরও সম্পৃক্ততা চান। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রত্যাবাসন খুব গুরত্বপূর্ণ। জাপান এ সমস্যা সমাধানে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেন, উত্তর কোরিয়া এবং ইন্দো-প্যাসিফিক পরিস্থিতি নিয়ে দেশটির অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি এসব ইস্যুতে ঢাকার অবস্থান এবং সহযোগিতা চান। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় এবং যুদ্ধবিরোধী দেশ। ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া বা লিবিয়া যেখানেই যুদ্ধ হয়, সেখানে জানমালের ক্ষতি হয়, যা আমরা ইউক্রেনের ক্ষেত্রেও লক্ষ্য করছি।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈশ্বিক ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হন। তারা বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ফোরামে ভবিষ্যৎ প্রার্থিতা নিয়েও আলোচনা করেন এবং একে অপরের প্রার্থীদের সমর্থন দেওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। মোমেন হায়াশিকে সুবিধাজনক সময়ে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান। এ সময় জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ড. মোমেন কয়েক ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফরে টোকিওতে অবস্থান করছেন। তিনি টোকিও থেকে মহাসাগর সম্মেলনে যোগ দিতে বিকেলে পালাউয়ের উদ্দেশে রওনা হবেন। পালাউতে তিনি আগামী শুক্রবার পর্যন্ত অবস্থান করবেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর