হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজনীতিতে বিএনপিই বিভাজন রেখা ও ঐক্যের সঙ্কট সৃষ্টি করেছে বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি নেতারা বলছে, তারা নাকি বিভাজনের রাজনীতি করে না! বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য ভূতের মুখে রাম নাম ধ্বনি ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদের স্বপ্নের মরা গাঙ্গে আর জোয়ার আসবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। শুক্রবার (৪ মার্চ) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শুধু তাই নয়, সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও বিদ্বেষ সৃষ্টি এবং রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহারের অপসংস্কৃতির ধারক ও বাহক হলো বিএনপি। তাদের চাতুর্যপূর্ণ কথামালার আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ভয়ঙ্কর কুৎসিত পরিকল্পনা। সংখ্যালঘু নির্যাতন যাদের অস্থিমজ্জায়, দুর্নীতি আর লুটপাট যাদের রাজনীতি তারা যতই চটকদার কথা বলুক না কেন জনগণ এখন আর তাদের এসব অপকৌশলে আস্থা রাখে না। স্বৈরশাসন, অপপ্রচার, গুজব, মিথ্যাচার, দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধতা নির্ভর রাজনীতির কারণে জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, চরম হতাশায় নিমজ্জিত বিএনপি নেতারা লাগাতারভাবে অসংলগ্ন, অবাস্তব ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মন্তব্য করে চলেছে। দেশের অভ্যন্তরে নানামুখী অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড ও ধ্বংসাত্মক অপতৎপরতা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশ ও জনগণ বিরোধী ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতারা প্রলাপ বকতে শুরু করেছে। ক্ষমতার তৃষ্ণায় কাতর নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে মঞ্চ গরম করা বক্তব্য দেওয়া বিএনপি নেতৃবৃন্দ ভালোভাবেই জানে যে, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। প্রত্যুষেই ঝরে পড়বে ষড়যন্ত্রের অন্ধকারে বোনা তাদের আকাক্সক্ষার সব স্বপ্নকলি। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনগণের সাড়া না পেয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অগ্নিসন্ত্রাসের পথ বেছে নেয় বিএনপি। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা এবং মানুষের বাড়ি-ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি। অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে দেশের জনগণ। ফলে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার সৎ সাহস হারিয়ে ফেলেছে বিএনপি।