হাওর বার্তা ডেস্কঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পরিবেশ, বন,
বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যেই লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে লাঠিটিলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক নির্মাণের
প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ সাফারি পার্কটি নির্মিত হলে লাঠিটিলা বনাঞ্চল অবৈধ
দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা পাবে ।
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক
স্থাপনের লক্ষ্যে প্রণীত মহাপরিকল্পনা ও ডিপিপি অনুমোদনের লক্ষ্যে আজ আগারগাঁওয়ে বন
অধিদপ্তরে আয়োজিত জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বনমন্ত্রী বলেন, সাফারি পার্ক এলাকায় বসবাসরত মানুষের ঐকমত্য এবং এ বিষয়ে
গণমাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের মতামত বিবেচনায় নিয়ে এখানে সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে।
ইতিপূর্বে নির্মিত দুটি সাফারি পার্কের অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগানো হবে যাতে আর কোনও
বন্যপ্রাণীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু না হয়। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা ও বিদেশ থেকে আসা
পর্যটকরা এ সাফারি পার্কে এসে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি প্রাণীর বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে
পারবে। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারি এ বনভূমির অভ্যন্তরে অবৈধভাবে বসবাসরত
পরিবারগুলোর মধ্যে ৩৭টি পরিবারকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায়
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী
হাবিবুন নাহার, সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল। সাফারি পার্কের মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন
পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক স্থপতি ইশতিয়াক জহির এবং প্রকল্প পরিচালক রেজাউল
করিম চৌধুরী। এছাড়া, বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধি এবং বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য
রাখেন।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনায় সাফারি পার্কের মোট আয়তন ৫ হাজার ৬৩১ একর
যার মধ্যে মূল সাফারি পার্কের আয়তন ২৭০ একর। ৮৭০ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২০২২-
২০২৬ সালের মধ্যে সাফারি পার্কটি নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
#