রাজধানীতে লকডাউনের তৃতীয় দিনে প্রায় ফাঁকা সড়কগুলো

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনার সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের তৃতীয় দিনে আজ শুক্রবার রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো দৃশ্যত ফাঁকাই ছিল।

আজ সাপ্তাহিক ছুটির কারণে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও কল-কারখানা বন্ধ থাকায় শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিরাজ করছে নীরবতা।

‘সকালে রাজধানীর প্রগতি সরণি, গুলশান, বাড্ডা, হাতিরঝিল, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, মিরপুর রোড, ধানমন্ডি ২৭ ও মোহাম্মদপুর এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যানবাহনের চাপ না থাকায় অনেক চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। আবার এফডিসির কাছে পুলিশ সদস্যদের যানবাহন থামাতে দেখা গেছে। কারওয়ান বাজারে বিনা প্রয়োজনে না থাকার জন্যে মাইকিং করতে শোনা গেছে।’

‘রাস্তায় খুব কম সংখ্যক প্রাইভেট কার, সিএনজি-চালিত অটো রিকশা ও কাভার্ড ভ্যান দেখা গেছে। তবে রাস্তায় ও গলিগুলোতে মোটরসাইকেল ও রিকশা ছিল,’ যোগ করেন তিনি।

‘সকাল ৮টায় সাভার থেকে ঢাকায় আসার পথে দেখি রাস্তায় যানবাহন খুবই কম। গাবতলী, টেকনিক্যাল মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট ছিল। কল্যাণপুর-শ্যামলী, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে রাস্তায় খুব কম সংখ্যক মানুষ দেখেছি। পান্থপথ ও বসুন্ধরার সামনে প্রায় ফাঁকা ছিল।’

‘সেখান থেকে প্রেসক্লাবে আসি। সেখানে লোকজন কম। সেখান থেকে বিমানবন্দরে আসি। বিমানবন্দরের রাস্তা প্রায় ফাঁকা।’

‘বিমানবন্দরে আসার পর যা দেখি, যাদের আজকে রাতে ফ্লাইট আছে তারা এসেছেন। তারা এসেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে,’ যোগ করেন তিনি।

আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধের কারণে রোকেয়া সরণিতে গাড়ি কম। কিন্তু, শেওয়া পাড়া ও কাজীপাড়ার গলির মধ্যে মানুষের হাঁটা-চলা রয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় নয়, এমন দোকানও খোলা দেখা গেছে। তবে সব দোকান খোলা নেই।’

‘গলিতে চলাচলকারী লোকজনদের মধ্যে ‘অধিকাংশকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যায়নি। তবে কয়েকটি বস্তি এলাকায় গিয়ে দেখেছি, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার হার বাড়ছে।’

কঠোর লকডাউন মেনে চলতে র‌্যাব-১ নিজস্ব এলাকায় নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল ও বিশেষ চেকপোস্ট পরিচালনা করছে। এছাড়াও, জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য র‌্যাব-১ পথচারীদের মধ্যে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর