হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিন চলছে। লকডাউনে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছে ব্যাংক ও শেয়ারবাজার।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও গ্রাহকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। থেমে নেই নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মযজ্ঞ। বিশেষ করে নিম্নমধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ সকালে বেরিয়ে পড়েছেন তাদের কর্মের খোঁজে। পাশাপাশি জরুরি সেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে। এক্ষেত্রে কিছু অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের নিজস্ব পরিবহনে অফিসে যাতায়াত করছেন। এছাড়া হেঁটে বা রিকশায় হাসপাতালে যেতে দেখা গেছে অনেক স্বাস্থ্যকর্মীকে।
রাজধানীর মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, দিলকুশা ও ফকিরাপুল এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউনকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিশেষ করে লকডাউনে অযথা ঘোরাফেরা করা মানুষের সংখ্যা কমানো এবং এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় মানুষ যাতায়াত করছে কি না তা মনিটরিং করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে মুভমেন্ট পাশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন সময় গাড়ি নিয়ে টহল দিতেও দেখা গেছে।
এদিকে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সড়কে কোনো ধরনের গণপরিবহন চলছে না। তবে জরুরি সেবার আওতায় বিভিন্ন ধরনের পণ্য পরিবহন, অফিসের স্টাফ বাস, লাশবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট সেবা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিবহনসহ রিকশা সড়কে চলাচল করছে।
এ বিষয়ে মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসির আরাফাত খান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘অপ্রয়োজনে সাধারণ মানুষ ঘোরাঘুরি করছে কিনা তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সড়কে রিকশা ছাড়া কোনো গণপরিবহন বা ব্যক্তিগত পরিবহন চলছে না। তবে পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপ চলাচল করছে। একইসঙ্গে জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত ছোটখাটো মাইক্রোবাস প্রাইভেটকার চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংক ও শেয়ারবাজার খোলা রয়েছে, তাই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন সেই দিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।’