রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা উপহারে আবেগাপ্লুত প্রয়াত এমপি আব্দুস সাত্তারের পরিবার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রয়াত এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তারের পরিবারের জন্য শুভেচ্ছা উপহার পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকালে শুভেচ্ছা উপহারের খামটি মরহুমের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র ‍যুগ্মসাধারণ সম্পাদক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক।

রাষ্ট্রপতির এই শুভেচ্ছা উপহার হাতে পেয়ে আবেগাপ্লুত হন প্রয়াত এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তারের পরিবারের সদস্যরা।

এ বিষয়ে পিপি অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টটিতে অসংখ্য নেটিজেন লাইক, শেয়ার ও কমেন্টস করেছেন।

পোস্টটিতে অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক লিখেছেন, “মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রাণ হল বলিদান, লেখা আছে অশ্রুজলে” কালজয়ী এ গানটি লিখেছিলেন, মোহিনী চৌধুরী (৫ সেপ্টেম্বর, ১৯২০-২১ মে ১৯৮৭) একজন খ্যাতনামা বাঙালি কবি, গীতিকার ও চিত্র পরিচালক। এ গান চিরায়ত ইতিহাসের হৃদয়ের অকিঞ্চিত জ্যোর্তিময় প্রকাশ; যেনো আমরা ভুলে না যাই, লক্ষ কোটি প্রাণের দামে কেনা মুক্তির ইতিকথা!

আমাদের বাঙালির যা কিছু অর্জন, জাতি স্বত্বা, ভূ-রাজনৈতিক মুক্তি, ক্রমসংগ্রামশীল ইতিহাসের কলজে ছিঁড়ে রক্ত নিয়ে এ মুক্তির গানটি লেখা। এ গানটির কথা স্মরণে আসে ক্রান্তি উৎক্রান্তির জীবন নিবেদিত মুক্তি সমগ্রামের মাহেল্দ্রক্ষণে।

কিন্তু এবার আমার চৈতন্যের মর্মভেদি এ সঙ্গীতের সুর মুর্ছনার কারণ একটি স্মরণীয় দুখ ও আনন্দজাগানীয়া ঘটনা। সে আসল কথাটি বলতেই এ গানের বিষয়টির অবতারনা।

-গত শুক্রবার সকালে শরতের কাঠফাটা রোদ মাথায় করে উপস্থিত হলাম জৌলুসহীন একটি বাড়িতে। কিশোরগঞ্জ শহরের নিউটাউন এলাকায় এ বাড়িটি মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সাবেক এম পি এ্যাডভোকেট মরহুম আব্দুস সাত্তার সাহেবের বাড়ি। তিনি তাঁর সময়কালে সমধিক পরিচিত ছিলেন ‘সাত্তার উকিল সাহেব’ নামে।

তাঁর বর্ণাঢ্য ও কীর্তিময় জীবন নিয়ে আলোচনা করতে গেলে লেখাটির কলেবর বৃদ্ধি পাবে এবং প্রসঙ্গান্তর ঘটবে। সচেতনভাবেই তা এড়িয়ে ঘটনাটিতে ফিরে আসি। অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন ও বারের একাউন্ট্যান্ট আমজাদকে নিয়ে বাসার ভিতর প্রবেশ করতেই মরহুম সাত্তার সাহেবের দুই পুত্র সমীর ও সুজন তাদের মায়ের কাছে নিয়ে গেলো।

নবতি ঊর্ধ্ব মাতৃসমা মহিয়সি এ নারীকে পা ছুঁয়ে সালাম করতেই পাশে বসালেন। খোঁজ-খবর আদান প্রদানের পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ’এঁর শুভেচ্ছা খামটা হস্তান্তর করে, তিনি (রাষ্ট্রপতি) যে, তাঁকে ও তাঁর পরিবারকেও স্মরণ করেন নিরন্তর, কিন্তু রাষ্ট্রাচারের কারণে স্বশরীরে আসতে পারেন না; আর সে না পারার আক্ষেপের কথা বর্ণনা করি।

সাথে সাথে মহিয়সি নারীর চোখে চিক চিক করছিলো অশ্রুধারা। উপস্থিত দুই পুত্রের চোখের কোনায় তপ্ত অশ্রু। শুধু বললো, আজকাল আমাদেরকে প্রায় সবাই ভুলেই গেছে, শত ব্যস্ততার মাঝে যিনি মনে রাখেন তিনি ‘তো আমাদের “আবদুল হামিদ”!

রোদে পুড়ে মনের গহিনে মহামান্যের স্মরণে উচ্চারিত হচ্ছিল রবি ঠাকুরের অমর সঙ্গীত, আগুনের পরশ মনি ছোঁয়াও প্রাণে… । He is our political teacher! H’ President MD ABDUL HAMID long live!

সকলের প্রতি অনুরোধ রাখবো আমরা যেনো ভুলে না যাই, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ের কথা, মোহিনী চৌধুরীর সঙ্গীতের কথা: “মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রাণ হল বলিদান, লেখা আছে অশ্রুজলে”।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর