হাওর বার্তা ডেস্কঃ ফেসবুক ব্যবহার করার সময় আমরা প্রত্যেকেই এমন অনেক পোস্টের সম্মুখীনই হই। যেগুলোর রিপোর্ট করা নিয়ে আমরা দ্বন্দ্বে পড়ে যাই। অনেক সময় আমরা এমন পোস্ট শেয়ার করি বা এমন পোস্টে কমেন্ট করি যার প্রভাব সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণা নেই। আবার কখনো কোন পোস্ট শেয়ার করা ঠিক হবে কি না তা নিয়েও দ্বিধাগ্রস্ত হই। তবে ১০ ধরনের কনটেন্ট যদি কোন ফেসবুক গ্রুপ, পেজ, কমেন্ট, প্রোফাইল এমনকি মেসেঞ্জারের বার্তায়ও পান তাহলে নির্দ্বিধায় সেগুলো রিপোর্ট করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো।
১. নির্দিষ্ট কোনো মতবাদ বা ব্যক্তি সত্তাকে অসম্মান করা হলে
যদি কোন পোস্টে নির্দিষ্ট মতবাদ, লিঙ্গ, জাতি বা ধর্মীয় অনুভূতিতে সরাসরি আঘাত করে তবে সেই পোস্টটি এবং যে এই পোস্ট শেয়ার করেছে তাকেও রিপোর্ট করতে পারেন। জাতি, মতবাদ ও ধর্মীয় বিশ্বাস প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাপার এবং এগুলোর ভিত্তিতে কাউকে বিবেচনা করার অধিকার কারো নেই।
২. অশালীন ও আপত্তিকর ছবি থাকলে
যেসব কনটেন্ট যৌন নির্যাতন বা জাতিগত সহিংসতা প্রচার করে অবিলম্বে সেসব পোস্ট রিপোর্ট করতে হবে। কারণ অন্য পোস্টের চেয়ে এই পোস্টগুলো বেশি শেয়ার হয় এবং ব্যবহারকারীরা এই পোস্টগুলো বিশ্বাসও করে বেশি, তাই এই ধরনের পোস্টগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
৩. হিংস্রতা ও অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পেলে
যদি কোনো পোস্টে হিংস্রতা বা অসহিষ্ণুতা প্রকাশ পায়, যা অন্যের অনুভূতিতে আঘাত করে তবে সেই পোস্টগুলো রিপোর্ট করুন। কারণ এ পোস্ট বা জিআইএফগুলো যখন কোনো ব্যক্তিকে কটাক্ষ করে হয় সেখান থেকে পারস্পরিক বা জাতিগত সংঘর্ষ হতে পারে।
৪. ব্যক্তিগত তথ্যে অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করলে
নিজের অ্যাকাউন্ট এবং যে তথ্যগুলো অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা হয় যেমন- ছবি, স্ট্যাটাস, চেক-ইনস, যোগাযোগের বিবরণ, কর্মস্থলের ঠিকানা, সে সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। এসব তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে ফেসবুকের প্রাইভেসি ও সিকিউরিটি টুলস ব্যবহার করুন। নইলে প্রতারক চক্র আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে, যা আপনার নিজের এবং ফেসবুক কমিউনিটির জন্য ক্ষতিকর।
৫. কোনো পোস্ট আপনার অনুমতি ছাড়া শেয়ার করা হলে
যদি আপনার নিজের কোনো পোস্ট বা ছবি আপনার অনুমতি না নিয়েই কেউ শেয়ার করেন, যা আপনার গোপনীয়তা নষ্ট করে তবে সেই ব্যক্তিকেও পোস্ট রিপোর্ট করুন।
৬. ভুয়া খবর হলে
ফেসবুকে এখন নানা ধরণের ভুয়া খবর ছড়িয়ে আছে। ব্যবহারকারীরা এই খবরগুলোর সত্যতা না জেনেই শেয়ার করে থাকেন। স্প্যাম আছে এমন পোস্টগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকুন বা যিনি পোস্টটি শেয়ার করেছেন অ্যাকাউন্টটি ফেইক কিনা তা লক্ষ্য করুন।
৭. পোস্টে সহিংসতামূলক ছবি বা ভিডিও থাকলে
যদি কোনো ভিডিও, ছবি বা গ্রাফিক্স কন্টেন্টে সহিংসতা বা অন্যের দুর্ভোগ ও অপমান সমর্থন করে তাহলে অবিলম্বে সেই পোস্টটি রিপোর্ট করুন। এতে পারস্পরিক সহিংসতা রোধ করা যাবে।
৮. অপরাধমূলক কাজ প্রচার করলে
যদি কোন পোস্টে সহিংসতামূলক অপরাধ, চুরি, জালিয়াতি বা কোন অপরাধের বর্ণনা থাকে তবে সেই পোস্টটি সাথে সাথে রিপোর্ট করতে হবে।
৯. অন্যের ক্ষতি করতে উৎসাহিত করলে
যদি কোন পোস্ট অপরাধমূলক কাজ করতে উস্কানি দেয় যা মানুষ, ব্যবসা বা প্রাণীর ক্ষতি করতে পারে, সেই পোস্ট রিপোর্ট করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
১০. কোন পোস্ট নিজের ক্ষতি বা আত্মহত্যা সমর্থন করলে
যদি কোন পোস্ট হুমকিস্বরূপ হয় বা আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে তাহলে দ্রুত স্থানীয় ইমার্জেন্সি সার্ভিসে যোগাযোগ করুন। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে পোস্টটি রিপোর্ট করুন। ফেসবুকই প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দেবে যা তাদের সাহায্য করতে পারে।
আপত্তিকর কনটেন্ট বা স্প্যাম রিপোর্ট করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো পোস্টের উপরের ডানদিকে ‘তিনটি ডট’-এ ক্লিক করে ‘ফাইন্ড সাপোর্ট’ বা ‘রিপোর্ট পোস্ট’ সিলেক্ট করা এবং পোস্টটি কীভাবে ফেসবুক কমিউনিটি গাইডলাইনের নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে তার বর্ণনার সাথে মিলে এমন অপশনে ক্লিক করা।