ঢাকা ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নই স্বাচিপ সভাপতির মিশন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০১৫
  • ৩৭৩ বার

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অধিকতর উন্নয়নই স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মিশন ভিশন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন হিসেবে সরকারের সহায়ক (ছায়া) শক্তি হিসেবে কাজ করবে স্বাচিপ। এ লক্ষ্যে খুব শিগগিরই বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পর্যালোচনার মাধ্যমে সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে তা সমাধানে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় সুপারিশ পেশ করা হবে। খুব শিগগিরই সারাদেশের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পর্যালোচনা কার্যক্রম শুরু হবে।

রোববার জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক স্বাচিপের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে এসব কথা জানান তিনি।

এ সময় স্বাচিপের নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান সংগঠনটির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডকে আরও অধিক গতিশীল করতে তার কিছু পরিকল্পনার কথাও জানান।

তিনি বলেন, ১৯৯৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাচিপের পথচালা শুরু হয়। কিন্তু ২২ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত স্বাচিপের নিজস্ব কোনো স্থায়ী অফিস নেই।

সদ্য সমাপ্ত চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনে প্রবীণ-নবীন নেতাকর্মীদের মুখে ঘুরেফিরে নিজেদের একটি স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলার দাবি উঠে। নবনির্বাচিত কমিটি স্বাচিপের একটি স্থায়ী অফিস স্থাপনে উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানান অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান।

একক নয়, এখন থেকে স্বাচিপের সার্বিক কার্যক্রম যৌথ সিদ্ধান্তে পরিচালিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েকদিন যাবত রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে জুনিয়র সিনিয়র চিকিৎসকরা সভাপতি ও মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছেন। কিন্তু তাদের দুজনের (সভাপতি ও মহাসচিব) কেউই এখনও পর্যন্ত এককভাবে কারও শুভেচ্ছা গ্রহণ করেননি।

স্বাচিপ সভাপতি জানান, সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ের কমিটি পুনর্গঠন করা হবে। স্বাচিপের সদস্য হতে আগ্রহী ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের তরুন চিকিৎসকদের সদস্য করতে নতুনভাবে সদস্যপদ সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া বিভিন্ন কারণে যে ১২শ’ সদস্যের সদস্যপদ স্থগিত রাখা হয়েছে সেগুলো অধিকতর যাচাই বাছাই করে যোগ্যদের সদস্যপদ দেয়া হবে।

আগামী মঙ্গলবার সকাল ৭টায় নবনির্বাচিত স্বাচিপের আট নেতাসহ শতাধিক চিকিৎসক ফরিদপুরের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানাতে রওয়ানা হবেন বলেও জানান তিনি।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ঘোষিত নতুন কমিটির আট জন হলেন- সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, ডা. জামালউদ্দিন চৌধুরী, রোকেয়া সুলতানা ও অধ্যাপক ডা. আবদুর রউফ র্সদার।

যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ডা. জাকারয়িা স্বপন, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া ও ডা. জুলফিকার লেনিন। এছাড়া কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নই স্বাচিপ সভাপতির মিশন

আপডেট টাইম : ১০:৫০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০১৫

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অধিকতর উন্নয়নই স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মিশন ভিশন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন হিসেবে সরকারের সহায়ক (ছায়া) শক্তি হিসেবে কাজ করবে স্বাচিপ। এ লক্ষ্যে খুব শিগগিরই বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পর্যালোচনার মাধ্যমে সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে তা সমাধানে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় সুপারিশ পেশ করা হবে। খুব শিগগিরই সারাদেশের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পর্যালোচনা কার্যক্রম শুরু হবে।

রোববার জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক স্বাচিপের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে এসব কথা জানান তিনি।

এ সময় স্বাচিপের নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান সংগঠনটির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডকে আরও অধিক গতিশীল করতে তার কিছু পরিকল্পনার কথাও জানান।

তিনি বলেন, ১৯৯৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক সম্মেলনের মাধ্যমে স্বাচিপের পথচালা শুরু হয়। কিন্তু ২২ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত স্বাচিপের নিজস্ব কোনো স্থায়ী অফিস নেই।

সদ্য সমাপ্ত চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনে প্রবীণ-নবীন নেতাকর্মীদের মুখে ঘুরেফিরে নিজেদের একটি স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলার দাবি উঠে। নবনির্বাচিত কমিটি স্বাচিপের একটি স্থায়ী অফিস স্থাপনে উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানান অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান।

একক নয়, এখন থেকে স্বাচিপের সার্বিক কার্যক্রম যৌথ সিদ্ধান্তে পরিচালিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েকদিন যাবত রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে জুনিয়র সিনিয়র চিকিৎসকরা সভাপতি ও মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছেন। কিন্তু তাদের দুজনের (সভাপতি ও মহাসচিব) কেউই এখনও পর্যন্ত এককভাবে কারও শুভেচ্ছা গ্রহণ করেননি।

স্বাচিপ সভাপতি জানান, সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ের কমিটি পুনর্গঠন করা হবে। স্বাচিপের সদস্য হতে আগ্রহী ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের তরুন চিকিৎসকদের সদস্য করতে নতুনভাবে সদস্যপদ সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া বিভিন্ন কারণে যে ১২শ’ সদস্যের সদস্যপদ স্থগিত রাখা হয়েছে সেগুলো অধিকতর যাচাই বাছাই করে যোগ্যদের সদস্যপদ দেয়া হবে।

আগামী মঙ্গলবার সকাল ৭টায় নবনির্বাচিত স্বাচিপের আট নেতাসহ শতাধিক চিকিৎসক ফরিদপুরের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানাতে রওয়ানা হবেন বলেও জানান তিনি।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ঘোষিত নতুন কমিটির আট জন হলেন- সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, ডা. জামালউদ্দিন চৌধুরী, রোকেয়া সুলতানা ও অধ্যাপক ডা. আবদুর রউফ র্সদার।

যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ডা. জাকারয়িা স্বপন, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া ও ডা. জুলফিকার লেনিন। এছাড়া কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির।