গাজীপুরে ৬৬ হাজার ৮০০ একর বনভূমির মধ্যে ১২ হাজার একরই বেদখলে। বনভূমি দখল করে সেখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন শিল্প কারখানা। অবৈধ দখলে থাকা এসব ভূমি দ্রুত উদ্ধারের সুপারিশ করেছে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠক শেষে মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, “যারা সরকারি জায়গা দখল করেছে তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা আগামী বৈঠকে দিতে বলা হয়েছে। এসব দখলকারীদের নাম প্রকাশ করা দরকার। নামগুলো প্রকাশ পেলে অন্তত দখলকারীদের কিছুটা শাস্তি হবে।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটি সদস্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নবী নেওয়াজ, টিপু সুলতান, মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী, ইয়াহিয়া চৌধুরী প্রমুখ। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “গত ১৬তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা গাজীপুর বনভূমির বেদখল ভূমির তালিকা চেয়েছিলাম। আজ সেই দখলকারীদের কিছু তালিকা পেয়েছি। এর মধ্যে ৫৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া গেছে।
দখলদারদের মধ্যে রয়েছে প্যানাস অটোক্রিয়েশন লিমিটেড, ম্যাগডোনাল বাংলাদেশ, হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এনএজেড বাংলাদেশ, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েস, বিসিডিএস (ব্রাক), বেন্টলি সোয়েটার, গিভেন্সি এক্সেসারিজ গার্মেন্টস, পারটেক্স ডেনিম, ওয়ান ডেনিম ওয়ান স্পিনিং মিল, এডিআই অ্যাকোয়া, এমআই ইয়ার্ন ডাইং, নিটল টাটা গ্রুপের গাড়ি পার্কিং, করীফবাড়ি খামার ও রেস্ট হাউজ, আমবার কটন মিলস, পারটেক্স হোল্ডিং, ইপিলিয়ন স্টাইল, অ্যাটলাস ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, বেন ফিক্রস্টিল বিল্ডি ডেভেলপমেন্ট, এবি সিদ্দিক পলিমার, এসএম নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ, বিজি কালেকশন, নূর পোল্ট্রি কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ মেইজপ্রোডাক্ট, ইভন্স টেক্স, তিতাস স্কিনিং, বেঙ্গল গার্মেন্টস, মালা পোল্ট্রি ফার্ম, মাজকাত পোল্ট্রি, টিএস ট্রান্সফরমার, ন্যাশনাল ফিড, মডার্ন কিড, লিথি গ্রুপ, প্যারাগন পোল্ট্রি, স্ক্রিন গ্রাফ, গর্ডন স্টিল মিলস, মোশারফ কম্পোজিট, প্যাকলাইন লিমিটেড, নিসর্গ পিকনিক স্পট, আর্টিসান সিরামিক, সৃজনী ফিল্ম সিটি, বিটি লিমিডেট, মিলেনিয়াম স্টিল মিলস, কুইন্স পোল্ট্রি ফার্ম, অমনী অ্যাগ্রো, ঢাকা ফিশারিজ, রেডিয়াম এক্সেসরিজ, নির্জনা অ্যাপারেলস, গোলাম কিবরিয়া মৎস্য খামার, ইনডেক্স কনস্ট্রাকশন, এনএজেড বাংলাদেশ, সাহাবা ইয়ার্ন, এটিআই সিরামিক, গিভেন্সি ডেনিমস, খোরশেদ আলম অ্যাগ্রো, বেঙ্গল হারিকেন ডাইং, নেসলে বাংলাদেশ, গ্রিনটেক রিসোর্স এবং আদি অ্যাগ্রো ফার্ম।
কমিটির সভাপতি বলেন, গাজীপুর বনভূমির ৬৬ হাজার ৮০০ একর ভূমির ১২ হাজার একরই বেদখলে। এর মধ্যে আটটি মৌজার দখলকারীদের নাম পাওয়া গেছে। মন্ত্রণালয়কে এসব বেদখল ভূমি উদ্ধারের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কোন কোন শিল্প কারখানা পরিবেশ অধিদপ্তরে নিষিদ্ধ এলাকাতেই গড়ে উঠেছে। যারা সরকারি জয়গা দখল করেছে তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা আগামী বৈঠকে দিতে বলা হয়েছে।