নেত্রকোনার দুর্গাপুরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ডাকছে ভ্রমণ পিপাসুদের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি অপার সম্ভাবনার পর্যটন এলাকা নেত্রকোনার দুর্গাপুর। এখানে রয়েছে পাহাড় নদীর গভীর মিতালি। মুগ্ধ হবার মতোই পাহাড়ী কন্যা সোমেশ্বরীর স্বচ্ছ পানি।

উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নটি জুড়ে রয়েছে উপভোগ করার মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি নানা স্থাপনা। ভ্রমণ পিপাসুদের হাতছানি দিয়ে ডাকে যেনো প্রকৃতির এই মনকাড়া রূপ। বিজয়পুর সীমান্ত সড়কের পাশেই চোখে পড়বে ক্যাথলিক গীর্জা রানিখং মিশন, রাশিমনি টংক স্মৃতিস্তম্ভসহ নানা স্থাপনা।

কুল্লাগড়া ইউনিয়নটির প্রায় সাত কিলোমিটার জুড়ে খনিজ সম্পদ চিনামাটির পাহাড়। ভেতরে তার নীল পানি। দেখে যেনো প্রাণ জুড়ায়। এসকল সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকদের থাকার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বিরিশিরি কালাচারাল একাডেমির অথিতিশালা, ওয়াইএমসি, জিবিসিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। তবে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-তাত্বিক গোষ্ঠীর অথিতিশালা শুধুমাত্র সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্যই। তবে সেখানে ঘুরে ঘুরে দেখতে পারেন সকল পর্যটকরাই।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘুরতে এসে থাকা খাওয়ায় কোনো সমস্যা না হলেও গাইড বা দিক নির্দেশনা না থাকায় কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ভ্রমণ পিপাসুদের। বেগ পেতে হয় নতুন আসা পর্যটকদের। সোমেশ্বরী পার হয়ে যেতে হয় এ সকল সৌন্দর্য দেখতে। আর তাই নদী পাড়ি দেওয়া যেনো এক যুদ্ধের ময়দান হয়ে দাঁড়িযেছে পর্যটকদের সামনে।

তাই পর্যটকসহ স্থানীয়দের দাবি এলাকায় সরকারিভাবে দিক নির্দেশনা মূলক কিছু সাইনবোর্ড বা গাইডলাইনের ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি নদী পাড় হওয়ার বিড়ম্বনা থেকে নিস্তার দিতে একটি সেতু তৈরি করা। এদিকে পর্যটকদের সুবিধা দিতে এবং নিরাপত্তায় সকল ধরনের প্রস্তুত রেখেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ।

বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির পরিচালক শরবিন্দু সরকার স্বপন হাজং বলেন, ভৌগলিকভাবেই এই দুর্গাপুর একটি পর্যটন এলাকা। এখানে নানা জাতি গোষ্ঠীর একত্রে বসবাস। পাহাড় নদীর মেল বন্ধন। কিন্তু সরকারিভাবে গাইড এবং নির্দেশনা থাকলে ভ্রমণকারীদের যেমন সুবিধা হবে তেমনি পর্যটকও বাড়বে। পাশাপাশি মানুষের ভোগান্তি কমাতে সোমেশ্বরীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ অতি জরুরি।

দুর্গাপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় সচেষ্ট রয়েছে থানার পুলিশ। পাশাপাশি বিজিবির সাথেও বৈঠক করে সীমান্ত সড়কে নেওয়া হয়েছে বাড়তি টহল।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর