ডাকসু নির্বাচনে অনিয়ম : অভিযোগ জমা দিয়েছেন একজন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল তাতে একজন প্রার্থী ছাড়া কেউ অভিযোগ জমা দেননি।

গত বৃহস্পতিবার এ অভিযোগ লিখিত আকারে জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। এতে দেখা গেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ প্যানেলের জিএস প্রার্থী মুহাম্মদ রাশেদ খান নির্বাচনে অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে তদন্ত কমিটির কাছে দিয়েছেন।

তথ্যমতে, কেন্দ্রীয় ডাকসুতে ২২৯ জনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল সংসদের ১৩টি করে পদের নির্বাচনে মোট ৫০৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিপুল সংখ্যক এই প্রার্থীদের অনেকেই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেও অভিযোগ দিলেন মাত্র একজন।

তদন্ত কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। রাশেদ খান নামের একজন প্রার্থী ছাড়া বাকী কেউ জমা দেননি। আমরা তাকে আগামী রোববার ডেকেছি। তার অভিযোগ কতটুকু সত্য, তা যাচাই-বাছাই করা হবে।’

জানা যায়, ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ ডাকসু ও ১৮টি হল সংসদের নির্বাচন হয়। অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় পাঁচটি প্যানেল। এই নির্বাচনের ফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন তারা।

ডাকসু নির্বাচনের পরপরই কয়েকজন শিক্ষার্থী পুনর্নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশন এবং বিভিন্ন প্যানেল ক্যাম্পাসে অন্দোলন শুরু করলে তা তদন্ত করে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন প্রদানের জন্য ২১ মার্চ ভিসি সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক সাজেদা বানুকে আহ্বায়ক করে গঠিত এই কমিটির সদস্যরা হলেন- জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. ইমদাদুল হক, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ মো. মহিউদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিক উজ জামান, সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শারমিন রুমি আলীম। এদের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমানকে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব করা হয়।

এদিকে সাত কর্মদিবসের পরে দেখা গেছে, একজন প্রার্থী বাদে বাকী কেউ কোন ধরনের অভিযোগ করেননি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর